দোহা: পর্তুগালকে (Portugal Football Team) বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) অন্যতম ফেভারিট দল হিসাবে গণ্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। দলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো তো আছেনই, পাশাপাশি পেপের অভিজ্ঞতা জাও ফিলিক্সের তারুণ্য সব মিলিয়ে বেশ ভাল ভারসাম্যও রয়েছে। সম্ভবত নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলা রোনাল্ডোর হাতে খেতাব দেখার স্বপ্ন দেখছেন তাঁর অনুরাগীরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ হারতে হলেও, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে পর্তুগাল। এবার নক আউটের লড়াই।
নক আউট ম্যাচ মানেই ছোট্ট এক ভুল এবং তাতেই সব শেষ। বিশ্বকাপে অতীতে বহু দল গ্রুপ পর্বে ভাল খেলেও নক আউটে ব্যর্থ হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় টুর্নামেন্টগুলির নক আউট ম্যাচগুলিতে চাপও আর পাঁচটা সাধারণ ম্যাচের থেকে বেশি থাকে। তবে পর্তুগিজ মহাতারকার ব্রুনো ফার্নান্ডেজের (Bruno Fernandes) কাছে এই চাপটা নেতিবাচক নয়, বরং ইতিবাচক। তাঁর কাছে নক আউটের চাপের থেকে দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামার গর্ববোধটা অনেক বেশি দামি।
চাপ নয় গর্ব
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে স্যুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ব্রুনো বলেন, 'আমার লক্ষ্য যে ভাবে সম্ভব দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করা এবং দেশের হয়ে নিজের সর্বস্বটা উজার করে দেওয়া। আমার ওপর আমার পরিবার, আমার বন্ধুবান্ধব, আমার লোকেদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার একটা চাপ আছেই। তবে সবথেকে বড় চাপ হল দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। তবে এই চাপটা আমার কাছে ইতিবাচক বলেই মনে হয়। অবশ্য এই চাপের থেকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার গর্ববোধটা অনেক বেশি।'
ব্রুনোর মতে বিশ্বকাপের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়াটাই যে কোনও খেলোয়াড়ের কাছে তাঁর কেরিয়ারের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। সেই বিশ্বকাপেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে স্যুইৎজারল্যান্ডের মতো এক বেশ কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে চলেছে পর্তুগাল। দুই দল একে অপরের সঙ্গে বেশ পরিচিতও। এই বছরই উয়েফা নেশনস লিগের সুবাদে দুই বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে পর্তুগাল ও স্যুইৎজারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে পর্তুগিজরা ৪-০ স্কোরলাইনে জিতলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে কিন্তু সুইডিশরা ১-০ স্কোরলাইনে জয় পেয়েছিলেন। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দুই দল অতীতে ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে। উভয় দলই তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে। তাই এই ম্যাচে তথাকথিত ফেভারিট হিসাবে আগেভাগে কাউকেই বাছা সম্ভব নয়।
লক্ষ্যে অনড়
প্রতিপক্ষকে নিয়ে ব্রুনো অবশ্য খুব একটা চিন্তিত নয়। নিজের লক্ষ্যে অনড় পর্তুগিজ তারকা। 'প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই। যেভাবে হোক পরের পর্বে পৌঁছতে হবে। আমরা এই বছর বেশ কয়েকবার স্যুইৎজারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছি। এক ম্যাচ জিতেছি এবং একটিতে হারতে হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হল এইসব ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিকগুলি খুঁজে বের করে রপ্ত করা এবং নেতিবাচক দিকগুলি চিহ্নিত করে তা শুধরে নেওয়া।' মত ব্রুনোর।
আরও পড়ুন: মরক্কোর বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সতীর্থদের সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন স্পেন তারকা পেদ্রি