বুয়েনস আইরেস: এক সময় তাঁকে মনে করা হতো, দিয়েগো মারাদোনা, লিওনেল মেসিদের সমকক্ষ। কিন্তু মহাতারকাদের উচ্চতায় পৌঁছতে পারেননি পাওলো দিবালা। আর্জেন্তিনার বিশ্বজয়ে অবশ্য বড়সড় অবদান রেখেছেন তিনি। ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে মাথা ঠান্ডা রেখে গোল করেছেন। পরাস্ত করেছেন উগো লরিসকে।
কীভাবে টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেধ করেছিলেন, দেশে ফিরে তা জানালেন দিবালা। যিনি টাইব্রেকারে আর্জেন্তিনার হয়ে দ্বিতীয় শটটি মেরেছিলেন। তাঁর গোলেই পেনাল্টি শ্যুট আউটে ২-১ এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্তিনা। দিবালা বলেছেন, 'আমি আড়াআড়ি শট মারতে যাচ্ছিলাম। যেদিকে লরিস ঝাঁপিয়েছিল। তবে সেই সময়ই মনে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচে দিবু (এমিলিয়ানো মার্তিনেজের ডাকনাম) বলেছিল, গোলকিপাররা ভুল করার পরই ঝাঁপায়। তাই সেই সময় গোলের মাঝ বরাবর জোরাল শট মারতে হয়। সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না।'
টাইব্রেকারে সেই মন্ত্র মেনেই সফল হন দিবালা। লরিসকে হার মানান। বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসছেন দিবালা। তিনি বলেছেন, 'মানুষ এখন জানে যে, আমিই পাওলো। আমি খুব খুশি। এত মানুষ আমাকে দেখতে এসেছেন ভিড় করে।'
বুয়েনস আইরেসে বিশৃঙ্খলা
দীর্ঘ যাত্রাপথ। দেশে ফিরে রাজকীয় অভ্যর্থনা। সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হল বিশ্বজয়ী আর্জেন্তিনা শিবিরকে। কথা ছিল হুডখোলা বাসে করে বুয়েনস আয়ার্সের রাজপথ পরিক্রমা করবেন মেসিরা। কিন্তু আবেগের বিস্ফোরণের সামনে তা আর করা গেল না। সাধারণ মানুষের মেসি, দি মারিয়াকে ছােঁয়ার আকুল আর্তি, পাগলামির সামনে পরিকল্পনা বদল করতেই হল।
ঠিক কী হয়েছিল?
সোমবার ভোররাতে দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন মেসিরা। তাঁদের দেখতে বিমানবন্দরের বাইরেই অগণিত সমর্থক, ভক্তকুলের ভিড় ছিল। মঙ্গলবার বুয়েনস আয়ার্সের বিখ্যাত সৌধ ওবেলিসকের সামনে হুডখোলা বাসে করে যাওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ীদের। কিন্তু রাস্তায় বিপুল সমর্থকদের ভিড় যা সামলানোর কোনও পরিস্থিতিই ছিল না। অনেক মানুষ টিম বাসে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করেন, অনেকে আবার উড়ালপুলের ধার ধরে বাসের পেছনে ছুটতে থাকেন। জানা গিয়েছে অনেকেই ব্রিজের ধার থেকে বাসে ওঠার ও ফুটবলারদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বুঝে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। নামানো হয় হেলিকপ্টার।
আরও পড়ুন: কলকাতার মাঠ হোক বা খাবার, অভিযোগ করেননি মেসি, আর্জেন্তিনার বাংলা সফরের স্মৃতি