দোহা: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) বনাম ফার্নান্দো স্যান্তোসের অশান্তি কি আরও বড় আকার ধারণ করতে চলেছে?


স্যুইৎজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে পর্তুগাল (Portugal vs Switzerland)। যে ম্যাচের শুরু থেকে রোনাল্ডোকে খেলানো হয়নি। যা নিয়ে ঝড় উঠেছে ফুটবল বিশ্বে। আর সেই ঘটনার পর বোমা ফাটালেন জর্জিনা রগ্রিদেজ। বললেন, বিশ্বের সেরা ফুটবলারের খেলা উপভোগ করতে না পারা লজ্জার!


স্যুইৎজারল্যান্ডকে ৬-১ উড়িয়ে পর্তুগালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা তখন সদ্য নিশ্চিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন জর্জিনা। ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, 'অভিনন্দন পর্তুগাল। ১১ জন ফুটবলার জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছে। আর প্রত্যেকটা গোলের নিশানা ছিলে তুমি। এটা ভীষণ লজ্জার যে, বিশ্বের সেরা ফুটবলারের খেলা ৯০ মিনিট উপভোগ করতে পারলাম না। তবে ভক্তরা তোমার নাম ধরে চিৎকার করা আর জয়ধ্বনি দেওয়া থামিয়ে দেয়নি।'


ভারতীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতের ম্যাচে রোনাল্ডো যখন মাঠে নামেন, পর্তুগালের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। যে ঘটনা মেনে নিতে পারেননি জর্জিনা। আর্জেন্তিনার মডেল ও ব্যবসায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষোভ উগড়ে দেন।


তবে পর্তুগালের কোচের উদ্দেশে আবেদনও জানিয়েছেন জর্জিনা। রোনাল্ডোকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, 'আমি আশাবাদী যে, ঈশ্বর আর তোমার ভাল বন্ধু ফার্নান্দো হাতে হাত মিলিয়ে আর এক রাতের জন্য আনন্দ করার সুযোগ দেবে।'


ইনস্টাগ্রামে ৪ কোটি ফলোয়ার রয়েছে জর্জিনার। তাঁর এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ পোস্টে রিঅ্যাক্ট করেন। কমেন্টে ভেসে যেতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া।


স্যুইসদের বিরুদ্ধে রোনাল্ডো যখন মাঠে নামেন, ম্যাচ শেষ হতে মাত্র ২০ মিনিট বাকি। একটি গোলও করেন সিআরসেভেন। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেটি বাতিল হয়। রোনাল্ডোর পরিবর্তে যাঁকে খেলানো হয়েছিল, সেই গন্সালো রামোস তিনটি গোল করেন। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। ম্যাচ চলাকালীন রোনাল্ডোকে দেখা গিয়েছিল ডাগ আউটে শূন্য দৃষ্টিতে বসে রয়েছেন। পর্তুগাল গোল করার পরে তিনি সেলিব্রেট করেন। কিন্তু ম্যাচের শেষে যখন পর্তুগিজ ফুটবলাররা দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করছেন, তখন রোনাল্ডো একাই হাঁটা দেন লকার রুমের দিকে। মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেননি।


তবে, কেন এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হল তাঁকে, তা খোলসা করেছেন পর্তুগাল কোচ। কোচের মতে, এই সিদ্ধান্ত ছিল "কৌশলগত, তার বেশি কিছু নয়।" কিন্তু, এই সিদ্ধান্তই কি ছিল তাঁর কেরিয়ারের সবথেকে কঠোর ? এই প্রশ্নের উত্তরে কোচ স্যান্তোস বললেন, "ওর সঙ্গে আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আগামীদিনেও থাকবে। রোনাল্ডো যখন স্পোটিংয়ের হয়ে ১৯ বছর বয়স থেকে খেলছে, তখন থেকে ওকে চিনি। তারপর জাতীয় দলে দীর্ঘদিনের চেনা-পরিচয়।"


কোচের সংযোজন, "রোনাল্ডো আর আমি নিজেদের মধ্যে কখনওই কোচ-খেলোয়াড় সম্পর্কে ব্যক্তিগত ও মানবিক বিষয়গুলি নিয়ে বিভ্রান্ত হই না। ও দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।" তিনি আরও বলেন, মরক্কোর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ "আরও কঠিন" হবে বলে মনে করছেন। তবে, তাঁর দলও ভাল ফর্মে রয়েছে। 


আরও পড়ুন: রাউন্ড ১৬-র লড়াই শেষ, কোয়ার্টার ফাইনালে কে-কার মুখোমুখি; কবে-কখন খেলা ?