ম্যাকাল (চিলি): বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ব্রাজিল। ৬৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন এভার্টন রিবেইরো। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল ব্রাজিল। পরের ম্যাচে আর্জেন্তিনার মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল। তার আগে চিলির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে এই জয় নিঃসন্দেহে নেইমারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। 


কোপা আমেরিকা ফাইনালে আর্জেন্তিনার কাছে হারের পর এই প্রথম খেলতে নামল ব্রাজিল। কোপা ফাইনালে হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবারের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে সাতটি ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জয় পেল ব্রাজিল। ফলে কাতারে আগামী বছরের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করার দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন নেইমাররা। লাতিন আমেরিকা থেকে পয়েন্ট তালিকার প্রথম চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলটি প্লে-অফ খেলার সুযোগ পায়। এখনও পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপেই খেলেছে ব্রাজিল। বড় কোনও অঘটন ছাড়া কাতারেও নেইমারদের দেখা যাবে।


চিলির বিরুদ্ধে আজকের ম্যাচে বেশ কয়েকজন প্রথমসারির ফুটবলারকে পায়নি ব্রাজিল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলবি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্য ব্রাজিলের ফুটবলারদের ছাড়তে রাজি হয়নি। ফলে অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা, অ্যালিসন, এডারসন, ফ্রেড, ফ্যাবিনহো, রবার্তো ফিরমিনো, রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুসদের ছাড়াই খেলতে হয় ব্রাজিলকে। তা সত্ত্বেও চিলির বিরুদ্ধে জয় এল।


৪৬ মিনিটে ভিনি জুনিয়রের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন রিবেইরো। তিনিই এদিন নায়ক হয়ে গেলেন। ৬৪ মিনিটে নেইমারের গোল করার প্রচেষ্টা বাঁচিয়ে দেন চিলির গোলকিপার ক্লদিও ব্র্যাভো। ফিরতি বল রিবেইরোর কাছে গেলে তিনি গোল করতে ভুল করেননি।


ব্রাজিল-চিলি ম্যাচ বরাবরই চড়া মেজাজের হয়। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মোট ১৯টি ফাউল হয়। হলুদ কার্ড দেখেন দু’দলের চারজন করে ফুটবলার। নেইমারও ম্যাচের শেষদিকে হলুদ কার্ড দেখেন। তবে এই ম্যাচে কোনও ফুটবলার লাল কার্ড দেখেননি।