অধিনায়ক বিরাট কোহলি চোটের জন্য খেলতে না পারায় কুলদীপকে দলে নেওয়া হয়। তাঁকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে যে কোনও ভুল ছিল না, চলতি সিরিজের শেষ তথা চূড়ান্ত টেস্টে প্রমাণ করলেন কুলদীপ।
এই কুলদীপ সম্পর্কে পাঁচটি অজানা তথ্য
ইঁটভাটার মালিকের ছেলে
ভারতের অন্য অনেক ক্রীড়াবিদের মতোই কুলদীপ উঠে এসেছেন একেবারে সাধারণ পরিবার থেকে। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের একটি ইঁট ভাটার মালিক ছিলেন তাঁর বাবা। কুলদীপ যাতে ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন, সেজন্য পরে তাঁরা সপরিবার চলে আসেন কানপুরে।
ভারতের হয়ে খেলা প্রথম ‘চায়নাম্যান’
ভারতীয় দলের প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন কুলদীপের হাতে তাঁর প্রথম টিম ইন্ডিয়ার টুপি তুলে দিলেন, সেই মুহূর্তেই তৈরি হল ইতিহাস। এই প্রথম ভারতীয় টেস্ট দলে কোনও ‘চায়নাম্যান’ সুযোগ পেলেন। ‘চায়নাম্যান’ বলতে বোঝায় বাঁহাতি স্পিনার, যিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের ভেতরের দিকে বল টার্ন করেন এবং বাঁহাতিদের ক্ষেত্রে বল যায় বাইরের দিকে।
ফাস্ট বোলার হিসেবে কেরিয়ায়ের শুরু
ছোট বেলায় কুলদীপের আদর্শ ছিলেন পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আক্রম। কিন্তু চার-পাঁচ মাস পর তাঁর কোচ তাঁকে স্পিন বোলিং করতে বলেন। চায়নাম্যান ডেলিভারি একেবারে স্বাভাবিকভাবে করতে পারেন তিনি।বাকিটা তো ইতিহাস।
আদর্শ শ্যেন ওয়ার্ন
ছোটবেলায় আক্রমের ভক্ত থাকলেও চায়নাম্যান বোলিং শুরু করার পর স্পিন বোলিংটাই ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে তাঁর। তাঁর বোলিং টেকনিক উন্নত করতে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী লেগ স্পিনার ওয়ার্নের বোলিংয়ের ভিডিও তিনি দেখা শুরু করেন। যদিও ওয়ার্ন কিন্তু আদৌ চায়নাম্যান নন। ওয়ার্নের সঙ্গে কুলদীপের পার্থক্য হল যে ওয়ার্ন ডান হাতে লেগস্পিন করতেন, আর কুলদীপ করেন বাঁহাতে।
ওয়ার্নের টিপস কাজে লাগিয়ে প্রথম টেস্ট উইকেট
কুলদীপের তূণীরে রয়েছে রকমারি অস্ত্র। কিন্তু ফ্লিপার আরও ধারালো করতে ওয়ার্নের কাছ থেকে টিপস নিয়েছেন তিনি। আর এই ফ্লিপারেই এসেছে প্রথম টেস্ট উইকেট।
পুনেতে সিরিজের প্রথম টেস্টের ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে কুলদীপকে ওয়ার্নের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। নিজের আদর্শ স্পিনারের কাছে টিপস নিয়ে ফ্লিপার ধারাল করতে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন তিনি। কুলদীপ নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। অসি ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার এই ফ্লিপারেই অস্থায়ী অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।