বেঙ্গালুরু: লাল বলের ক্রিকেটে তিনি যে যোগ্য দাবিদার আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার, তা অনেকদিন আগে থেকেই দাবি উঠছিল। আর সুযোগেই বাজিমাত করলেন মুকশ কুমার। নিউজিল্যান্ড এ দলের বিরুদ্ধে একাই তুলে নিলেন ৫ উইকেট। গতকাল অভিষেকের দিনেই ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এদিন আরও ২ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে প্রথমবারই দুর্দান্ত শুরু করলেন।


প্রথম দিনের শেষে নিউজিল্য়ান্ড এ দলের স্কোর ছিল ১৫৬/৫। এদিন খেলার শুরুতে সিন সোলিয়াকে ফিরিয়ে দেন মুকেশ। বাংলার পেসারের বলে রজত পাতিদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। মুকেশ তাঁর পঞ্চম উইকেট পূরণ করেন লোগান ভান বিককে প্য়াভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে। এছাড়াও এদিন বাকি তিনটি উইকেট তুলে নেন এস এন খান, কুলদীপ যাদব। নিউজিল্য়ান্ড এ দলের ইনিংস এদিন শেষ হয়ে যায় ৪০০ রান। উল্লেখ্য, গতকাল কিউয়ি ওপেনার চাড বাওয়েসকে প্রথমে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান মুকেশ। এরপর নিউজিল্য়ান্ড এ দলের অধিনায়ক রবার্ট ও'ডোনেলকে ফিরিয়ে দেন মুকেশ। এরপর গতকাল দিনের শেষ লগ্নে কিউয়ি উইকেটকিপার ক্যাম ফ্লেচারকে এলবিডব্লিউ করে দেন মুকেশ। 


নিউজিল্যান্ড এ দলের বিরুদ্ধে চারদিনের ম্যাচ খেলছে ভারত এ । সেই সিরিজে ভারত এ দলে সুযোগ পেয়েছেন বাংলার দুই ক্রিকেটার। মুকেশ কুমার ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল প্রথম ম্যাচ। আর সেই ম্যাচের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন বাংলার দুই ক্রিকেটারই।


ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক মরসুম ধরে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন। ২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩২ উইকেট। বাংলাকে ফাইনালে তোলার নেপথ্যে ছিল তাঁর দুর্দান্ত কিছু স্পেল। পরের মরসুমে করোনার প্রকোপে স্থগিত ছিল রঞ্জি ট্রফি। গত মরসুমে টুর্নামেন্ট ফিরতেই ফের ছন্দে ডানহাতি পেসার। ৫ ম্যাচে নেন ২০ উইকেট। তবু বাংলার পেসার মুকেশ কুমার যেন নির্বাচকদের কাছে ব্রাত্যই ছিলেন। কাছাকাছি গিয়েও জাতীয় দলের দরজাটা যেন কিছুতেই খুলছিল না।


অবশেষে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেয়েছেন মুকেশ। সুযোগ পেয়ে আবেগে ভেসে যেতে নারাজ মুকেশ। জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়ার আগেই এবিপি লাইভকে বলেছিলেন, ''আনন্দ হচ্ছে। অবশেষে বন্ধ দরজাটা খুলল। তবে বেশি উত্তেজিত হচ্ছি না। প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে হবে। উইকেট তুলে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। অনেকটা পথ বাকি এখনও। তাই এখনই আপ্লুত হওয়ার মতো কিছু হয়নি।''