নয়াদিল্লি: শুরু হয়ে গিয়েছে ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার নক আউট পর্ব। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) রাউন্ড অফ ১৬-র প্রথম লেগে আর্সেনাল (Arsenal) ও বার্সেলোনা (Barcelona), দুই ইউরোপিয়ান হেভিওয়েট ক্লাবই জয় পেতে ব্যর্থ। স্টপেজ টাইমের গোলে আর্সেনালের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দুরন্ত জয় পেল পোর্তো (Porto)। অপরদিকে, ম্যাচে লিড নিয়েও নাপোলির (Napoli) বিরুদ্ধে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বার্সাকে।
চলতি মরশুমে প্রিমিয়ার লিগে মিকেল আর্টেটার আর্সেনাল বেশ ভালই ফর্মে রয়েছে। লিগ তালিকায় আপাতত তিনে রয়েছেন তারা। তবে সাত বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট রাউন্ডে তাদের প্রত্যাবর্তনটা অবশ্য মিষ্টিমধুর হল না। গানার্সদের সঙ্গে গোটা ম্যাচ জুড়েই তালে তাল মিলিয়ে লড়াই করে পোর্তো। ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগটাও কিন্তু পোর্তোই পায়। গ্যালেনোর জোরাল শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলও অল্পের জন্য জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। আর্সেনালের আক্রমণকে দুরন্ত রক্ষণের দ্বারা প্রতিহত করতে সক্ষম হয় পর্তুগালের ক্লাবটি।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে বুকায়ো সাকার কর্নার থেকে উইলিয়াম সালিবাই আর্সেনালের হয়ে প্রথম বড় সুযোগটি পান। তবে নিজের শট গোলে রাখতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের ছবিটাও কিন্তু একইরকম ছিল। পোর্তোর জমাট রক্ষণ আর্সেনালের ফরোয়ার্ড লাইনকে চুপ করিয়ে রাখে। ডেকলান রাইসের ফ্রি-কিক তেকাঠির মধ্যে রাখতে ব্য়র্থ হন গ্যাব্রিয়েল। ম্যাচ ৯০ মিনিটের দিকে গড়ায়। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ গোলশূন্য শেষ হবে, তখনই গ্যালেনো অনবদ্য দূরপাল্লার এক শটে পোর্তোকে স্টপেজ টাইমের চতুর্থ মিনিটে লিড এনে দেন। ম্যাচ পোর্তোর পক্ষে ১-০ শেষ হয়। আর্সেনাল একটিও শট গোলে রাখতে পারেনি।
অপর ম্যাচে রবার্ট লেওয়নডস্কির গোলের জবাবে ভিক্টর ওসিমহেন গোল করে নাপোলিকে ম্যাচ ড্র করতে সাহায্য করেন। এই ম্যাচে সর্বকণিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট ম্যাচে মাঠে নামার রেকর্ড গড়েন বার্সার লামিন ইয়ামাল। তিনি অচিরেই প্রথম ১৬ বছর বয়সি ফুটবলার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করার রেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারতেন। তবে নাপোলি গোলরক্ষক অ্যালেক্স মেরেট তাঁর শট রুখে দেন। মেরেটকে শুরুর দিকে লেওয়নডস্কি এবং ইলকায় গুন্দোয়ানের শটও প্রতিহত করতে হয়।
প্রথমার্ধে ফিঁকে নাপোলির গোল লক্ষ্য করে বার্সা সাতটি শট তেকাঠির মধ্যে রাখলেও, গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে নাপোলি শুরুটা ভাল করলেও ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় লেওয়নডস্কি গোল করে বার্সাকে ম্যাচে এগিয়ে দেন। পেদ্রির পাস থেকে লেওয়নডস্কি দুরন্ত এক টাচে শট নেওয়ার জায়গা তৈরি করে এবং জোরাল শটে মেরেটকে পরাজিতও করে। গোটা ম্যাট জুড়ে ওসিমহেন শান্তই ছিলেন। তবে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকদের গোল করতে মাত্র একটি সুযোগই প্রয়োজন। ওসিমহেন এই ম্য়াচে তা প্রমাণ করে দিলেন। অ্যাঙ্গুয়েসার পাস থেকে দুরন্ত টার্নে নিজের মার্কারকে পরাস্ত করেন তিনি। বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
শেষ লগ্নে দুই দলই জয়ের জন্য ঝাঁপায়। পরিবর্ত হিসাবে নামা জিওভানি সিমিওনে গোল করার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। গুন্দোয়ানের শট অল্পের জন্য গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। শেষমেশ ১-১ স্কোরলাইনেই ম্যাচ শেষ হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: 'কোনওভাবেই পয়েন্ট খোয়ানো যাবে না', জামশেদপুর ম্য়াচের আগে ছেলেদের কড়া বার্তা কুয়াদ্রাতের