দোহা: কাতার বিশ্বকাপে ইন্দ্রপতন। কাতারে নেইমারদের(Neymer) স্বপ্নভঙ্গ। পেনাল্টি শ্যুটআউটে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ব্রাজিলের (Brazil)। গোলশূন্য নির্ধারিত সময়, এক্সট্রা টাইমে নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। পেটকোভিচের গোলে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। ফের পেনাল্টি শ্যুটআউটে জয় ক্রোয়েশিয়ার। ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া (Croatia)।


এই নিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয়বার শেষ চারে জায়গা করে নিল ক্রোয়েশিয়া। একই সঙ্গে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার পেনাল্টি শ্যুট আউটে হার ব্রাজিলের। ক্রোয়েশিয়া। সর্বাধিক ৪ বার পেনাল্টিতে জয় পেল ক্রোয়েশিয়া। তাদের সঙ্গে একই তালিকায় রয়েছে আর্জেন্তিনা, জার্মানি। আর গোটা ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচের কথা না বললেই নয়। গোটা ম্যাচে মোট ১২টি সেভ করেছেন তিনি। এর আগে জাপানকেও টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছেছিলেন মদ্রিচরা। সেই ম্যাচেও নায়ক হয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার এই তরুণ গোলরক্ষক। এদিন অতিরিক্ত সময় পিছিয়ে পড়ার পর ৭ মিনিটের মধ্যে ফের সমতা ফেরায় ক্রোয়েটরা। টাইব্রেকারে রডরিগোর শট বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। অন্যদিকে মার্কুইনহোসের শট বাঁদিকের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপরই ক্রোয়েশিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। 


 এর আগে ১০৫ মিনিটে পাকুয়েতার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পাস খেলে দুর্দান্ত গোল করেন নেমার। ব্রাজিলের জার্সিতে এই নিয়ে ৭৭ গোল করলেন নেমার। ছুঁলেন পেলেকে। এতদিন পেলে ছিলেন ব্রাজিলের সর্বাধিক গোলদাতা। এবার তাঁর সঙ্গে নেমারের নামও যুক্ত হল। ১১৭ মিনিটের মাথায় পাল্টা গোল করে খেলা জমিয়ে দেন ব্রুনো পেতকোভিচ। এই নিয়ে পরপর ২ বার বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছল ক্রোয়েশিয়া। 


এদিকে, ব্রাজিলের হারের পরই কাতার বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াইয়ে আজ গভীর রাতে মুখোমুখি নামতে চলেছে আর্জেন্তিনা ও নেদারল্যান্ড (Argentina vs Netherlands)। মেসিদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে কে এগিয়ে তা জানার জন্য উৎসুক থাকবেন অসংখ্য ফুটবল সমর্থক। কিন্তু  পরিসংখ্যান কিন্তু কিছুটা চিন্তায় রাখবে নীল সাদা সমর্থকদের। এখনও পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলে মোট ৪ বার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ডাচরা। ২টো ম্যাচ ড্র হয়েছে। 


কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো দলকে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। র‌্যাঙ্কিংয়ের শক্তিমত্তায় আর্জেন্তিনা এগিয়ে পাঁচ ধাপ। তবে আটে থাকা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মেসিদের ভয়ের কারণ ভার্জিল ফন ডাইক, ডি লিখট, জুরিয়েন তিম্বার ও নাথান অ্যাকেদের নিয়ে গড়া অভেদ্য রক্ষণ। এ ছাড়াও গাকপো, ক্লাসেন ও ডিপাইরাও কম যান না। সবশেষ ১৯ ম্যাচে অপরাজিত আছে লুই ফন গালের শিষ্যরা।

১৯৯৮ সালে আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডল। ২০১৪ সালে শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে নীল সাদা জার্সিধারীদের কাছে হেরে ডাচরা। সেই ম্যাচে মেসিকে আটকানোর চেষ্টা বৃথা যায়।