দোহা: কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর কিছুক্ষণ পরেই নামতে চলেছে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নামার আগে ব্রাজিল শিবিরে ফিরছেন চোট সারিয়ে নেমার। ক্রোয়েশিয়াও অঘটন ঘটাতে প্রস্তুত। দেখে নেওয়া যাক ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়ার আজকের একাদশ কেমন হল। 


ব্রাজিল একাদশ: এলিসন (গোলরক্ষক), এডার মিলিটাও, সিলভা, ড্যানিলো, ক্যাসেমিরো, পাকুয়েতা, রাপহিনহা, নেমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসন


ক্রোয়েশিয়া একাদশ: লিভাকোভিচ (গোলরক্ষক), জুরানোভিচ, লভরেন, সসা, মদ্রিচ, ব্রোজোভিচ, কোভাকিচ, ক্রামারিচ, পাসালিচ, পেরেসিচ


ক্রোয়েশিয়া তাদের দল নামিয়েছে ৪-৩-৩ ফর্ম্যাটে। অন্যদিকে ব্রাজিল কোচ তিতে দল নামিয়েছেন ৪-২-৩-১। 



প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আজ ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া পরস্পর নামছে। ব্রাজিলের স্যান্ড্রো যে খেলতে পারবেন না তার আঁচ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ব্রাজিলের দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পেশিতে চোট পেয়ে ৮৬ মিনিটে মাঠ ছাড়েন স্যান্দ্রো। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামেননি তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালেও তাঁর মাঠে নামার সম্ভাবনা কমই। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে স্যান্দ্রো অনুশীলনে ফিরলেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তিতে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, 'যতদূর যা বোঝা যাচ্ছে, ও ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচেও মাঠে নামতে পারবে না। ওর চোটটা (নেমার, দানিলোর গোড়ালির চোটের থেকে) ভিন্ন। ওকে এখনও সম্পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পেতে আরেকটু খাটতে হবে। আমাদের দলের মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে আমায় কথা বলতে হবে।'


রেকর্ড গড়ার হাতছানি


নেমার ইতিমধ্যেই চলতি বিশ্বকাপে গোল করে ফেলেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি যদি জোড়া গোল করতে পারেন, তাহলেই তিনি এক সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ফেলবেন। ৩০ বছর বয়সি নেমার ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১২৩টি ম্যাচে ৭৬টি গোল করেছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করলেই, পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড ভেঙে নেমারই সেলেসাওয়ের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন।


অন্যদিকে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচের আগেই আর্জেন্তাইন শিবিরে চোট আশঙ্কা। অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া এখনও মাঠে নামতে পারবেন কি না, সেই নিয়ে কোনওরকম নিশ্চয়তা নেই। উপরন্তু, কোয়ার্টারে রদ্রিগো দি পলের (Rodrigo de Paul) মাঠে নামা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। ম্যাচের আগে দলের তারকাদের চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খানিক ক্ষুব্ধই হলেন আর্জেন্তাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি (Lionel Scaloni)।