কলকাতা: মাঝে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ফারাক। শুক্রবার আইএসএলে অভিযান শুরু করছে গতবারের ফাইনালিস্ট মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তার ঠিক একদিন পরেই অভিযান শুরু করছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল এফসি। শনিবার আইএসএলে প্রথম ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। লাল হলুদ শিবিরের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি (East Bengal FC vs Bengaluru FC)।


আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali ) নিয়ে সদ্য জোড়া ধাক্কা খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। চার মাস পাওয়া যাবে না তারকা ডিফেন্ডারকে। সঙ্গে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তার ওপর দুটি উইন্ডোতে প্লেয়ার রেজিস্ট্রশন করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। যার ফলে প্রাথমিক ধাক্কা খেয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের নীল নকশা।


ইস্টবেঙ্গলের দুর্বল রক্ষণের ফাঁকফোঁকর ঢাকতে অন্যতম প্রধান ভরসা ছিলেন মোহনবাগান থেকে আসা তারকা ডিফেন্ডার। যদিও আপাতত আনোয়ারকে না পাওয়া নিয়ে ভাবছেন না কুয়াদ্রাত। ফুটবলার নথিভুক্ত করাতে না পারার বিষয়টিও মাথায় নেই। সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছেন, নিজের নিয়ন্ত্রণে যা নেই, তা নিয়ে তিনি ভাবতে চান না। কোনও অজুহাতও দিতে চান না।


বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় সাংবাদিকদের কুয়াদ্রাত বলেন, 'আনোয়ার ক্লাবের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। কিন্তু এটা এখন আর আমাদের হাতে নেই। সবকিছু ঠিকঠাক করার চেষ্টা চলছে। দেখা যাক কী হয়। ওকে পেলে অবশ্যই ভাল হতো। কিন্তু আমরা কোনও অজুহাত দিতে চাই না। আমরা প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলার চেষ্টা করব। আমরা মোট তিনজন প্লেয়ারকে পাব না। তবে কিছুই আমাদের হাতে নেই। গত বছর ৩৭ ম্যাচের মধ্যে আমরা ৪৫ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এবার আরও ভাল পারফর্ম করার চেষ্টা করব।'


নির্বাসিত হওয়ায় বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে পারবেন না আনোয়ার আলি। তিনি না থাকায় কী সমস্যা হবে দলের রক্ষণে? ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের জবাব, 'আনোয়ার দলের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। কিন্তু সব কিছু তো আমাদের হাতে থাকে না। ক্লাব নিজের মতো করে বিষয়টা দেখছে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। তবে দলে আরও অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। ওদের নিয়ে পরিকল্পনা করব। আশা করছি আনোয়ারের অভাব মেটাতে পারবে ওরা।'


এদিকে বৃহস্পতিবার প্র্যাক্টিসের সময় সামান্য চোট পেয়েছেন নন্দকুমার। যদিও কুয়াদ্রাত জানিয়েছেন, নন্দকে নিয়ে সমস্যা নেই। তিনি মাঠে নামতে তৈরি।


আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করে দিল বাংলাদেশ, কারা পেলেন সুযোগ?