মিউনিখ: ইউরো কাপে নিজেদের অভিযান শেষ করল স্যুইৎজারল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে হেরে গেল তারা। ১২০ মিনিটের লড়াই শেষে ২ দলই ১-১ শেষ করেছিল খেলা। তাই সেখান থেকে পেনাল্টিতে খেলা গড়ায়। গতকাল টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে গিয়েছিল পর্তুগাল। আজও ঠিক তেমনই ফল হল। ইংল্যান্ড ৫-৩ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল কোয়ার্টারের লড়াইয়ে। এদিন খেলার শুরু থেকেই দু দলই আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছিল। কিন্তু বল দখলের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড কিছুটা এগিয়ে ছিল সুইসদের তুলনায়। 


সাউথগেটের দল প্রথম ৫ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। বুকায়ো সাকা সহজ সুযোগ মিস করেন। খেলার ১৪ মিনিটের মাথায় হ্যারি কেনের পাস থেকে বল পেয়ে গিয়েছিল মাইনু। সেখান থেকে শট মেরেও গোলমুখে বল ঢোকাতে পারেননি। সুইস রক্ষণ থেকে বল ফেরত আসে। এরপর প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল সুইৎজারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। কিন্তু কোনও দলই গোল করতে পারেননি। খেলার ২৯ মিনিটের মাথায় জুড বেলিংহ্যামকে বাজেভাবে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন সুইস ফুটবলার শ্যার।


 






খেলার ৫১ মিনিটের মাথায় গোলমুখে শট মারেন এম্বোলো। কিন্তু শটে গতি না থাকায় তা জালে ঢোকেনি। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ড দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেন এদিন। খেলার ৬৭ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন। দ্বিতীয়ার্ধে এরপর ব্রিল এম্বোলো প্রথম গোল করেন সুইৎজারল্যান্ডের হয়ে। হঠাৎ এগিয়ে যায় সুইসরা। কিন্তু তার পাঁচ মিনিট পরেই গোলশোধ করে নেয় ইংল্য়ান্ড ফুটবল দল। ডানদিকের উইং ধরে আসা পাস থেকে বক্সের কোনা থেকে জোড়ালো শট মারেন বুকায়ো শাকা। সেখান থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান শাকা। পুরো ম্য়াচে ৫২ শতাংশ বল পজিশন ছিল ইংল্যান্ডের। সুইসদের ছিল ৪৮ শতাংশ। খেলা নব্বই মিনিট ফলাফল না বেরনোয় অতিরিক্ত মিনিটে গড়ায়। সেখানেও ম্য়াচের ফল আসেনি। পেনাল্টি থেকে ম্য়াচের ফলাফল নিস্পত্তি হয়। সুইৎজারল্যান্ডের এক ফুটবলার গোল মিস করেন। তাঁর শট ধরে নেন পিকফোর্ড। ইংল্য়ান্ডের পাঁচ ফুটবলারই গোল করেন।