বার্লিন: ওলিম্পিয়াস্টেডিওন স্টেডিয়ামে ভারতীয় সময় আজ রাত ১২.৩০ টায় ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াই। বার্লিনে আজ ফুটবল উৎসব। জার্মানি নেই টুর্নামেন্টে। সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। কিন্তু ফুটবলপ্রেম যে দেশে সেই দেশ ইউরো কাপের মত টুর্নামেন্টের ফাইনালের স্বাদ যে চেখে দেখবেই তা বলাই বাহুল্য। তার মধ্যে খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি স্পেন ও ইংল্যান্ড। একটা দল শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আর একটা দলের প্রধান শক্তি আক্রমণাত্মক ফুটবল ও গতিতে বাজিমাত করা। আজ থেকে ৬ বছর আগে শেষবার সিনিয়র ফুটবলে এই দুটো দল মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার রহিম স্টার্লিংয়ের জোড়া গোলের সুবাদে ইংল্যান্ড ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল স্পেনকে। 


সেই ম্য়াচের গোলদাতা স্টার্লিং হোক বা মার্কাস র্যশফোর্ড। তাঁরা কেউই গ্যারেথ সাউথগেটের দলের অংশ নন। উল্টে ইংল্যান্ড ফুটবল দলে ফিল হ্যারি কেনের নেতৃত্বে যে দল মাঠে নামে সেই দলে ফডেন, বুকাও সাকার মত তরুণরা দাপট দেখাচ্ছেন। উল্টোদিকে ইনিয়েস্তা, ফ্যাব্রেগাসদের ঘরানা ধরে রেখে স্পেনের মিডফিল্ড বর্তমান প্রজন্মও যথেষ্ট উজ্জ্বল। রদ্রি, ড্যালি ওলমো, ফ্যাবিয়ান রুইজরা পুরো টুর্নামেন্টেই দাপট দেখিয়েছেন। ফাইনালে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকিং লাইনের সামনে কিন্তু এই ত্রয়ী রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবেন নিঃসন্দেহে। আবার স্পেনের যে দলটি ২০১৮ সালে খেলেছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই দলের থেকে একমাত্র নাচো একমাত্র প্লেয়ার যিনি এবারের ফাইনালে স্পেনের ডিফেন্স সামলাবেন শুরু থেকে। 


চলতি ইউরোতে এখনও পর্যন্ত নিজেদের ছয়টি ম্য়াচেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্পেন। যে কােনও ইউরোর মরশুমে সর্বাধিক সংখ্যক জয় যে কোনও একটি দলের। মোট ১৩টি গোল করেছেন স্পেনের ফুটবলাররা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড শুরুর দিকে একটু নড়বড়ে ছিল। মাত্র সাতটি গোল এখনও পর্যন্ত করতে পেরেছে তারা গোটা টুর্নামেন্টে। যদিও এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনাল খেলতে চলেছে হ্যারি কেনের দল।


এখনও পর্যন্ত দুটো দল মোট ২৭ বার আমনে সামনে হয়েছে। তার মধ্যে স্পেন ১০ বার জয় পেয়েছে। ৩টি ম্য়াচ ড্র হয়েছে। ১৪ বার ইংল্য়ান্ড জিতেছে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে ইতহাস কিন্তু বলছে থ্রি লায়ন্সদের পাল্লাই ভারী। তবে এবারের টুর্নামেন্টের পারফরম্য়ান্সের বিচারে ইংল্যান্ড খাতায় কলমে কিছুটা পিছিয়ে থেকেই রবিবার গভীর রাতে খেলতে নামবে ফাইনালে। শেষ হাসি কারা হাসে সেটাই এখনও দেখার।