দোহা: কথায় আছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। আল থুমামা স্টেডিয়ামে আজ সেই প্রবাদই সত্যি হতে চলেছে। বছর ২৪ পর ফের বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) মঞ্চে মুখোমুখি হচ্ছেন রেইনা ও আবেদজাদে। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র (USA vs Iran)। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাতে (৩০ নভেম্বর) ফের একবার বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হচ্ছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। এই দুই দলের হয়ে মাঠে নামতে দেখা যাবে জিওভানি রেইনা (Giovanni Reyna) ও আমির আবেদজাদে (Amir Abedzadeh), ঠিক যেইভাবেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের হয়ে ২৪ বছর আগে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের বাবা, যথাক্রমে ক্লদিও রেইনা ও আমেদ রেজা আবেদজাদেকে।
ফ্রান্সের ইতিহাস
ফ্রান্সের লিয়ঁতে ৯৮ সালের চরম রাজনৈতিক এক পরিবেশের মাঝেই ইরানের তেকাঠির নীচে ছিলেন আমেদ আবেদজাদে এবং যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোল করার দায়িত্ব ছিল ক্লদিওর কাঁধে। সময় বদলেছে, পরিস্থিতি বদলেছে, তবে বাবার বদলে গোল আগলানো এবং গোল করার লড়াইয়ে ফের একবার দেখা যেতে পারে ছেলেদের। আমেদের মতো আমিরও গোলরক্ষক। অপরদিকে জিওভানি মিডফিল্ডার। দলের গোল করা ও করানো, উভয়েরই দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে। তবে দুই দলের ফুটবলাররা যে মাঠে নামবেনই, তার নিশ্চয়তা নেই।
আমির আগের কোচের অধীনে নিয়মিত ইরানের গোল আগলালেও তাঁকে বর্তমানে পিছনে ঠেলে দিয়েছেন বাকিরা। ইরানের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক আহত হলেও, কার্লোস কুইরোজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোসেন হোসনিকে সুযোগ দেন। তবে ইতিমধ্যেই হোসেনি ছয় গোল খাওয়ায় তাঁর বদলে আমিরকে পরখ করে দেখে নেওয়া যেতেই পারে। অপরদিকে, চোট সারিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমে মাত্র সাত মিনিট খেলেন জিও রেইনা। তিনি ফিট হলে, তাঁকেও ম্যাচের প্রথম থেকে খেলতে দেখা যেতেই পারে।
নতুন ইতিহাস
ফ্রান্সে যখন তাঁদের বাবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তখন জিও রেইনা জন্মাননি এবং আমিরের বয়স মাত্র চার। তাই সেই ম্যাচের স্মৃতি তাঁদের কারুরই মনে থাকার নয়। তাই কাতারে সুযোগ পেলে দুই তারকা কিন্তু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নয়, বরং নতুন ইতিহাস রচনার লক্ষ্যেই মাঠে নামবেন তরুণ তুর্কিরা।
আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীনই সমকামীদের সমর্থনে পতাকা নিয়ে মাঠে ফুটবল সমর্থক