দোহা: রোনাল্ডো না শাকিরি? আজ গভীর রাতের মহারণ শেষেই জানা যাবে কে হাসবে শেষ হাসি। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বৈরথে মুখোমুখি হতে চলেছে পর্তুগাল ও সুইৎজারল্যান্ড। খাতায় কলমে পর্তুগাল এগিয়ে থাকলেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর অফফর্ম কিছুটা চিন্তায় রাখবে পর্তুগিজ শিবিরকে। অন্যদিকে সুইসরাও তৈরি অঘটন ঘটাতে। তবে মাঠের যুদ্ধ শুরুর আগে দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান কী বলছে -


এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ বার মুখোমুখি হয়েছে পর্তুগাল বনাম স্যুইৎজারল্যান্ড। ১১ বার জিতেছে স্যুইৎজারল্যান্ড। ৯টি জয় পেয়েছে পর্তুগাল। ৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১৯৩৮ সালে প্রথমবার সাক্ষাতে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল স্যুইৎজারল্যান্ড। শেষবার উয়েফা নেশনস লিগেও জয় পেয়েছিল সুইসরা।


জীবনের শেষ বিশ্বকাপ নিশ্চিতভাবেই। প্রথম থেকেই বলছিলেন যে এবারের টুর্নামেন্টকে স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত নিজের ছায়া হয়েই থেকে গিয়েছে শেষ তিন ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। এরমধ্যে আবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় কোচ স্যান্তোসের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়েছে। তাঁর পারফরম্যান্স আশানুরুপ না হওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে রোনাল্ডোকে বসিয়ে দিয়েছিলেন স্যান্তােস। যা ভালভাবে নেননি সি আর সেভেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন কোচের বিরুদ্ধে। এবার স্যুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের আগে পর্তুগাল সমর্থকরাও রোনাল্ডোর থেকে মুখ ঘুড়িয়ে নিচ্ছেন। 


পর্তুগালের এক ক্রীড়া সংবাদপত্র প্রথম পছন্দের একাদশ নির্বাচনের জন্য একটি নিউজ পোল তৈরি করেছিল। সেই পোলের নিরিখে ৭০ শতাংশ মানুষ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে চাইছে না। অনেকেই বলেছেন, ''ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ক্লাব ও দেশের জার্সিতে কোচের সঙ্গে ঝামেলা করেন। উনি বিশ্বকাপ জিততে চান। কিন্তু ভীষণ বাজে ব্যবহার ওঁনার।''


ফুটবল রেটিং সংস্থা Sofascore রোনাল্ডোকে চলতি বিশ্বকাপে মাত্র ৬.৩৭ রেটিং দিয়েছে। তারা একটি খারাপ পারফরম্যান্স যাঁদের তাঁদের নিয়ে একাদশ বানিয়েছে। সেখানে একমাত্র প্রতিনিধি রেখেছেন রোনাল্ডোকেই। সেই দলে চারজন কাতারের ফুটবলার রয়েছেন, ২ জন করে রয়েছেন কোস্টারিকা এবং কানাডার। একজন করে ফুটবলার রয়েছেন সৌদি এবং অস্ট্রেলিয়াকে। আর আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।


বিস্ফোরক রোনাল্ডো


কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৬৫ মিনিটে রোনাল্ডোকে মাঠ থেকে তুলে নেন স্যান্টোস। এরপরেই রোনাল্ডোর প্রতিক্রিয়ায় বেজায় চটেছেন পর্তুগিজ কোচ। এমনকী স্যুইৎজারল্যান্ড বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রোনাল্ডো আদৌ দলে সুযোগ পাবেন কি না, সেই বিষয়েও স্পষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি স্যান্টোস। রোনাল্ডোকে উক্ত ম্যাচে মাঠ ছাড়ার সময় বলতে শোনা যায়, 'ওঁ (স্যান্টোস) আমায় যত দ্রুত সম্ভব মাঠ থেকে তুলে নিতে আগ্রহী ছিলেন।' এই ঘটনার বিষয়ে অবশ্য মাঠে কিছুই বুঝতে পারেননি বলে স্বীকার করেন স্যান্টোস।