কলকাতা: ঐতিহ্যের ডার্বি নিয়ে রাজনীতি। কোনওভাবেই চাননি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা। তার জন্যই গতকাল একজোট হয়ে পথে নেমেছিল ২ দলের সমর্থকরা। আর জি কর মেডিক্য়াল-কাণ্ডে বিচার চেয়ে বাইপাসে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান সমর্থকদের জমায়েত হয়েছিল। সেখানেই ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। সমর্থকদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যণ চৌবে। তিনি নিজেও সেই জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন শুরু থেকেই। ডার্বি বাতিল নিয়ে যে রাজনীতির আঁচ ছড়িয়েছে চারিদিকে, তা নিয়ে এবার সােচ্চার হলেন কল্যাণ চৌবে।


সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ''মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্য়াচ ছিল রবিবার। আজ প্রচুর সমর্থক এই খেলাটি দেখতে আসতেন। এই খেলা বাংলার মানুষের কাছে আবেগ। প্রচুর পুলিশ এখানে নিয়োগ করা হয়েছিল সমর্থকদের অ্য়ারেস্ট করার জন্য়। কিন্তু তার অর্ধেক পুলিশও যদি এদিন নিযুক্ত থাকতেন, তবে কিন্তু আজ ম্য়াচটা সঠিকভাবে আয়োজন করা সম্ভব হত।''


প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার আরও বলেন, ''আমি বিশ্বাস করি ফুটবল কোনও রাজনীতির অঙ্গ হতে পারে না। এটা যে কোনও ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে। আমি নিশ্চিত যে এখানে যদি ম্য়াচ আয়োজন করা হত, তবে তা সুষ্ঠভাবেই আয়োজন করা সম্ভব হত। আমি জানি প্রত্যেক সমর্থক তাঁদের দলকে শান্তিপূর্ণভাবেই সমর্থন করতেন। কিন্তু ম্যাচ আয়োজন করা কখনওই উচিত নয়।''


গতকাল প্রতিবাদ থামাতে বিকেলে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও, জনা ছয়েক সমর্থক আটক ছিলেন। সেই সমর্থকদের ছাড়াতে রাতেই লালবাজারে উপস্থিত হয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। কল্যাণের দাবি পুলিশ রাতে এই সমর্থকদের লকআপেই রেখে সোমবার আদালতে তোলার পরিকল্পনা করছিল। তবে তিনি তা আটকান এবং অবশেষে রাত ১১টার দিকে সাফল্য়ও পান। সমর্থকদের ছাড়িয়ে আনার কথা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সকলকে জানান কল্যাণ। ফেডারেশন সভাপতি লেখেন, 'সদ্যই লালবাজারে পুলিশের প্রধান কার্যালয় থেকে আমাদের সমর্থকদের বেল করিয়ে নিয়ে ফিরছি। ওরা যাতে পুলিশ স্টেশনে রাতা কাটানোর যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে না যায়, সেটা সুনিশ্চিত করেছি।' রবিবার বিকেল তিন প্রধানের সমর্থকদের বিক্ষোভে সামিল হয়ে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে কলকাতা ডার্বি বাতিলের তীব্র নিন্দা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন সমর্থকদের আটক হতে দেবেন না। সেই কথা রাখেন তিনি।