কলকাতা: ধারাবাহিকভাবে সাফল্যহীন দুই দলই। তাই দুই দলের কাছেই জয়ে ফেরার লড়াই রবিবার, কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে। কেরালা ব্লাস্টার্সের ঘরের মাঠে মুখোমুখি হবে কলকাতার মহমেডান এসসি, যারা ১১ ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার সবার নীচে রয়েছে। তুলনায় কিছুটা ভাল জায়গায় রয়েছে ব্লাস্টার্স। ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট অর্জন করে তারা রয়েছে দশ নম্বরে। কিন্তু সময় যে রকম খারাপ যাচ্ছে তাদের, তাতে অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছে তাদের ফুটবল-পাগল সমর্থকেরা। আরও নীচে না নেমে যায় তাদের প্রিয় দল।
গত তিন মাসে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি মহমেডান। চলতি লিগের একমাত্র জয়টি তারা পেয়েছিল ২৬ সেপ্টম্বর, চেন্নাইয়ে। তার পর থেকে শুধুই হার আর হার। এর মধ্যে শুধু ন’জনে খেলা ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা। বাকি সাতটিতেই হেরে যায়। কোচিতে এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যে বেশ কঠিন, তা এখন বেশ ভালমতোই বুঝতে পারছে কলকাতার সাদা-কালো ব্রিগেড।
একটা জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে তারা, যা তাদের অল্প হলেও আত্মবিশ্বাস জোগাতে পারে তাদের। কিন্তু নিজেদের ভুলে সেটুকুও অর্জন করতে পারছে না মহমেডান এসসি। এ পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে ১০৪টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে তারা। কিন্তু গোল পেয়েছে মাত্র পাঁচটি! যা যথেষ্ট বিস্ময়কর। প্রতিপক্ষের গোলের সামনে গিয়ে বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া, মাথা ঠাণ্ডা রাখতে না পেরে খেই হারিয়ে ফেলা, এ সব তাদের খেলায় আকচারই দেখা যাচ্ছে।
এমনকী, বিদেশী অ্যাটাকাররাও টানা ব্যর্থ হয়ে চলেছেন। লাতিন আমেরিকান জুটি কার্লোস ফ্রাঙ্কা ও অ্যালেক্সি গোমেজ, মির্জালল কাসিমভ, সিজার মানজোকি প্রত্যেকেই ব্যর্থ। শেষের তিনজন তাও একটি করে গোল করতে পেরেছেন। কিন্তু ফ্রাঙ্কা এখনও গোলের খাতাই খুলতে পারেননি। ১১ ম্যাচে আটটির বেশি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। মন্দের ভাল গোমেজ। দশটি ম্যাচে ন’টি শট গোলে রাখতে পেরেছেন তিনি, যার মধ্যে একটি থেকে গোল পেয়েছেন। এই গোলের খরাই তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে।
কেরালা ব্লাস্টার্সের এই সমস্যা নেই। সারা লিগে মহমেডান যত গোল করেছে, শেষ পাঁচ ম্যাচে তার চেয়ে বেশি গোল করেছে কেরালার দল। ১২ ম্যাচে ১৯টি গোল করেছে তারা। কিন্তু রক্ষণে তাদের বিশাল বিশাল ফাঁক ফোকর থেকে যাচ্ছে, যার ফলে এই লিগে সবচেয়ে বেশি, ২৪টি গোল খেয়েছে এই দলই। গড়ে প্রতি ম্যাচে দু’টি করে গোল খেয়েছে তারা।
গত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে তারা। টানা তিন ম্যাচে হারের পর তাদের সুইডিশ হেড কোচ মিকায়েল স্তাহরে দায়িত্বও ছেড়ে দিয়েছেন। সহকারী কোচেরাও একই সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত দলের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের যুব দলের কোচ টমাস চর্জ। এই টালমাটাল অবস্থায় দলকে কী ভাবে টেনে তুলবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল