কলকাতা: দীর্ঘ প্রাক মরশুমের পরও যে ভাবে হতাশাজনক হার দিয়ে শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি, তা দলের পক্ষে মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সেই অস্বস্তি কাটাতেই রবিবার কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে তারা নামবে কেরল ব্লাস্টার্স এফসি-র বিরুদ্ধে, যেখানে প্রতিপক্ষ শুধু কেরালার দলের এগারোজন ফুটবলার নন, গ্যালারিতে থাকা হাজার চল্লিশ সমর্থকও। 


ব্লাস্টার্সের মুখর সমর্থকদের কথা এখন কারও অজানা নয়। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ডেসিবেলের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া আওয়াজের মধ্যে খেলতে হয় ফুটবলারদের। এত আওয়াজের মধ্যে নিজেদের কথাবার্তাও ঠিকমতো শুনতে পান না মাঠে থাকা খেলোয়াড়রা। এই পরিবেশে যে কোনও বাইরের দলের ফুটবলারদের স্নায়ুর চাপ সামলানো কঠিন হয়ে ওঠে। 


তবে ব্লাস্টার্সের সমর্থকেরা যতটা আগ্রাসী হয়ে ওঠেন, ইদানীং তাদের দল ততটা আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারছে না। গত আইএসএলেও যা অবস্থা ছিল তাদের, এ বারেও ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। ইস্টবেঙ্গলের মতো তারাও হার দিয়েই এ বারের লিগ অভিযান শুরু করেছে। নাটকীয় সেই ম্যাচে শেষ দশ মিনিটের মধ্যে তিন-তিনটি গোল হয় এবং এই তিন গোলেই ফয়সালা হয়। পাঞ্জাব এফসি ২-১-এ জিতে মাঠ ছাড়ে। 


কাল আইএসএলে কোন দল মুখোমুখি হবে?


রবিবার আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হবে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে


কোথায় ম্যাচ?


ম্য়াচটি হবে কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে


কখন শুরু?


ম্যাচ শুরু হবে রবিবার সন্ধে ৭.৩০ থেকে


কোথায় দেখবেন ম্যাচ?


সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে খেলা হবে আইএসএলের ম্য়াচটি


অনলাইনে কীভাবে দেখবেন ম্য়াচ?


জিও সিনেমায় অনলাইনে এই ম্য়াচটি দেখা যাবে


ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাদের হারের তফাৎটা হল, কলকাতার দল হারে অ্যাওয়ে ম্যাচে, কেরল ব্লাস্টার্স হারে তাদের ঘরের মাঠেই। লাল-হলুদ বাহিনী প্রথম ম্যাচে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিল না। কান্তিরাভায় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই তাদের চাপে রাখে বেঙ্গালুরু। প্রথমার্ধে তারাই দাপুটে ফুটবল খেলে এক গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মাদি তালাল নামার পর কলকাতার দলের  আক্রমণে ধার বাড়ে। কিন্তু প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় সমতা আনতে পারেনি তারা। 


প্রতিপক্ষকে বাড়তি চাপে ফেলতে ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে ক্লেটন সিলভা এবং দুই তরুণ আক্রমণাত্মক ফুটবলার আমন সিকে ও পিভি বিষ্ণুকে নামান কুয়াদ্রাত। ডেভিড লালনসাঙ্গাও নামেন। শেষ দিকে লাল-হলুদ বাহিনীর  সাতজন আক্রমণাত্মক ফুটবলারকে মাঠে দেখা যায়। তা সত্ত্বেও গোলের দরজা খুলতে পারেননি তাঁরা। কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত সে দিন ম্যাচের পর বলেন, ''আজ আমাদের ছেলেরা গোল করার অনেক চেষ্টা করেছে। প্রতিপক্ষের বক্সে অনেকবার হানা দিয়েছে আমাদের ফুটবলাররা। শুরুটা আমরা খারাপ করিনি। যত দিন যাবে আমরা আরও উন্নতি করব।'' রবিবার কোচিতে সেই উন্নতির প্রতিফলন দেখা যাবে কি না, সেটাই দেখার।                                                                    তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল