নয়াদিল্লি: গত দু’মরশুম ধরেই এ দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গারের জায়গাটা ধরে রেখেছেন লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে। তবে এ বারে তিনি একধাপ এগিয়েই গিয়েছেন। এ বার দলের ১৩টি গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। এ মরশুমে এ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের বক্সে মোট ৯৯বার বল ছুঁয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। এই ব্যাপারে তিনি নোয়া সাদাউই (১৪৬) ও কার্লোস মার্তিনেজের (১০১) পরেই রয়েছেন ছাঙতে। ড্রিবলের সংখ্যাতেও (৬৭) তিনি ভারতীয়দের মধ্যে দু’নম্বরে রয়েছেন, জিথিন এমএসের (৭০) পরেই। এর মধ্যে তাঁর ৩০টি ড্রিবল সফল হয়েছে।


লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে, মুম্বই সিটি এফসি



গত দু’মরশুম ধরেই এ দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গারের জায়গাটা ধরে রেখেছেন লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে। তবে এ বারে তিনি একধাপ এগিয়েই গিয়েছেন। এ বার দলের ১৩টি গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। সাতটি গোল নিজে করেছেন ও ছ’টি করিয়েছেন। ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে তাঁর গোল অবদানই সবচেয়ে বেশি। অন্যদের মধ্যে বিক্রম প্রতাপ সিং দশটি গোলে অবদান রেখেছেন এবং মোনবাগানের মনবীর সিংও একই সংখ্যক গোলে অবদান রেখেছেন। মুম্বই সিটি এফসি-র প্লে অফে ওঠার পিছনে ছাঙতের অবদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।


বিক্রম প্রতাপ সিং, মুম্বই সিটি এফসি



এ বারের আইএসএলের নয়া আবিষ্কার বলা যেতে পারে বিক্রম প্রতাপ সিংকে। যদিও এই নিয়ে আইএসএলে চতুর্থ মরশুম খেলছেন তিনি। তবে এ বারের মতো উন্নত পারফরম্যান্স আর কোনও বার দেখা যায়নি। লিগ পর্বে মোট সাতটি গোল করেছেন তিনি। অ্যাসিস্ট করেছেন তিনটিতে। ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল তাঁর ও ছাঙতের। দলের গোল অবদানে ভারতীয়দের মধ্যে ছাঙতের পরেই তিনি। সাতটি গোলই তিনি করেছেন বক্সের মধ্যে থেকে, যা এক রেকর্ড। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, তাতে প্রতি ১৫৩ মিনিট অন্তর একটি করে গোল করেছেন তিনি। আইএসএলের ইতিহাসে আর কোনও ভারতীয় এত ঘন ঘন গোল করতে পারেননি।


মনবীর সিং, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট



বেশি গোল করতে না পারলেও যে ভাবে একের পর এক গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি, তাতে মনবীর সিংকে এখন অনেকেই ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম সেরা কার্যকরী খেলোয়াড় বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এ বারের লিগে নিজে তিনটি গোল করেছেন ও সাতটি গোলে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছেন মনবীর সিং, যা তাঁর আইএসএল কেরিয়ারের মোট (১৫) অ্যাসিস্টের প্রায় অর্ধেক।


শুভাশিস বোস, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট



এই নিয়ে আইএসএলে সাত নম্বর মরশুমে খেলছেন ২৮ বছর বয়সী শুভাশিস বোস। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার এ বারের লিগে যতটা সময় মাঠে ছিলেন, আর কোনও ফুটবলারই (আউটফিল্ডার) এত সময় মাঠে থাকতে পারেননি। সব মিলিয়ে ১৯৪২ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। তার চেয়ে বেশি মাত্র দু’জন ম্যাচটাইম পেয়েছেন, দুজনই গোলকিপার বিশাল কয়েথ (১৯৮০) ও গুরপ্রীত সিং সান্ধু (১৯৮০)।


ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ, এফসি গোয়া



এই মরশুমে তিনি খুব বেশি অ্যাসিস্ট করতে পারেননি ঠিকই, মাত্র চারটি অ্যাসিস্ট করেছেন। কিন্তু এ মরশুমে তিনি আইএসএল কেরিয়ারে ২৫টি অ্যাসিস্টের মাইলফলক পেরিয়ে এসেছেন, যা ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম। তবে দলের হয়ে যে পরিমান গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন, তা উল্লেখযোগ্য। এ মরশুমে ৫৪টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। আর কোনও ভারতীয় ফুটবলার এত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। একমাত্র মাদি তালাল (৫৭) তাঁর চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছেন। পেট্রাটস ৫২টি এবং আহমেদ জাহু ও রাফায়েল ক্রিভেলারো ৪২টি করে সুযোগ তৈরি করেছেন।                                                                                                                                    তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া