কলকাতা: কিক অফের পর থেকে দাপট ছিল মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC)। মাত্র এক পয়েন্টের জন্য যাদের হাত থেকে লিগশিল্ড খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। সেই প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্পই যেন কাজ করছিল মুম্বই সিটি এফসি-র ফুটবলারদের মধ্যে। তবু, বিরতির আগে গোল করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকেই এগিয়ে দিয়েছিলেন জেসন কামিংস। খেলার গতির বিরুদ্ধে।


দ্বিতীয়ার্ধে যদিও ঘুরে দাঁড়াল মুম্বই সিটি এফসি। প্রথমে সমতা ফেরায়। তারপর আরও ২ গোল জড়িয়ে দেয় মোহনবাগানের জালে। সব মিলিয়ে ৩-১ গোলে সবুজ-মেরুন জনতার স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল মুম্বই সিটি এফসি।


প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার কথা মুম্বই সিটি এফসি-র। মোহনবাগান বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় তারা। লালরিনজুয়ালা ছাংতে শট নেন। বাঁক খাওয়ানো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। ক্রসবারে গিয়ে লাগে সেটি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাগান জনতা।


তার আট মিনিটের মধ্যে ফের গোলের সুযোগ পায় মুম্বই। গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করে তারা। ৩৯ মিনিটে ফের ছাংতের শট পোস্টে লাগে। বিক্রম বাঁ দিকের উইং ধরে আক্রমণে ওঠেন। এবং বক্সের ভিতরে তিনি ছাংতেকে একটি পাস বাড়ান। তবে ছাংতের শট শুভাশিস বসুর গায়ে লাগে। সেখান থেকে বল পোস্টে গিয়ে লাগে। অল্পের জন্য ফের সুযোগ নষ্ট হয় মুম্বইয়ের।


ম্যাচের ৪৪ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোস দূর থেকে একটি গোলমুখী শট নেন। সেটি মুম্বই সিটি এফসি-র গোলকিপার ফুর্বা লাচেংপা গ্রিপ করতে পারেননি। যিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হয়েছেন। ফিরতি বল ধরে জেসন কামিংস সরাসরি তা জালে জড়ান বাঁ পায়ের ছোট্ট টোকায়। সেই সঙ্গে ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধ শেষ হয় মোহনবাগান ১-০ এগিয়ে থাকা অবস্থায়।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মুম্বই সিটি এফসি সমতা ফেরায়। মনবীরকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্তিনার ফুটবলার পেরেরা দিয়াজ। নোগুয়েরার কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন তিনি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল করেননি দিয়াজ। মনবীর সামনে থাকলেও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে বলটি বের করার চেষ্টা করেছিলেন হেক্টর। তিনিও পারেননি। ১-১ করে ফেলে মুম্বই।


৮১ মিনিটে ২-১ করে মুম্বই। দ্বিতীয় গোলটিও হল বাগান ডিফেন্ডারদের ঢিলেঢালা মনোভাবে। প্রথমে ছাংতে একটি শট নেন যা রুখে দেওয়া হয়। বলটি জাকুবের কাছে যায়, যেটি গোলের সামনে বিপিনের পায়ে পড়ে। পরিবর্ত হিসাবে নামা বিপিন প্রথমে মিস করলেও, ফিরতি বল ধরে তা জালে জড়ান। 


ম্যাচের সংযুক্ত সময়ে ৩-১ করে ফেললেন মুম্বই সিটি এফসি-র জ্যাকুব। রক্ষণের দোষেই তৃতীয় গোলটিও হজম করে মোহনবাগান। জ্যাকুব প্রথমে বিক্রমের কাছে বল বাড়ান। বিক্রম আবার বক্সের ভিতর থাকা বিপিনকে পাস দেন। তবে শুভাশিসের কাছে বিপিন বাধা পেলেও, বাগান ডিফেন্ডার বলটি ক্লিয়ার করতে পারেননি। জ্যাকুব সেই বলটি ধরেই জালে জড়িয়ে দেন।


মোহনবাগানের জয় দেখার জন্য গ্যালারি ভরিয়েছিলেন সমর্থকেরা। হৃদয়ভঙ্গের রাত তোলা রইল তাঁদের জন্য।


আরও পড়ুন: স্ত্রীকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলে? স্টার্ককে প্রশ্ন কেকেআর তারকার, কী জবাব অজ়ি পেসারের?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।