কলকাতা: লিওনেল মেসি (Lionel Messi) কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ হয়ে মুম্বইয়ে পৌঁছে গিয়েছে। রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সচিন তেন্ডুলকর ও মেসি জার্সি ও ফুটবল বিনিময় করলেন। ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য হয়ে রইল স্মরণীয় ফ্রেম।

Continues below advertisement

তবে কলকাতায় মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় যুবভারতী স্টেডিয়ামে বেনজির তাণ্ডবের রেশ এখনও কাটছে না। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের। বিশেষ করে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যেভাবে মেসির সঙ্গে কার্যত সেঁটে ছিলেন, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড়। তীব্র আক্রমণ করছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা।

আর এসবের মাঝেই বিজেপির এক বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন কুণাল। তাঁর অভিযোগ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে কারণ, কুণালের নিশানায় প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক ডিন্ডা!

Continues below advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো যুবভারতীতে ডিন্ডার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে কুণাল বলেছেন, 'যুবভারতীতে গতকাল বিজেপির বিধায়ক ও প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক ডিন্ডা। সপরিবারে। মাঠের মধ্যে গিয়ে যাঁরা সমালোচিত, তার মধ্যে থেকে বিজেপি বিধায়ক বাদ যাবেন কেন? তাঁকে বা ওখানে অতিরিক্ত/অবাঞ্ছিতদের, তৃণমূল হলেও, প্রবেশপত্র দিল কে বা কারা?'

কুণালের অভিযোগ জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে চর্চা। বলাবলি হচ্ছে, ডিন্ডা শুধু বিজেপি বিধায়ক নন। তাঁর আরও এক পরিচয় রয়েছে। তিনি বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার। ভারতীয় দলে খেলেছেন। মেসির সঙ্গে তাঁর মাঠে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় কি না, তা নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। 

 

এ নিয়ে অশোক ডিন্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল। এবিপি লাইভ বাংলাকে ডিন্ডা বললেন, 'আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি। খেলার মাঠে যেতে গেলে যিনি প্রশ্ন তুলছেন তাঁর থেকে অনুমতি নিয়ে যাব নাকি! খেলার সঙ্গে যাদের সম্পর্ক নেই, সেরকম লোকেরা মাঠে থাকে কী করে?' অভিযোগ উড়িয়ে ডিন্ডা বলছেন, 'আমি মেসির ধারেকাছেও যাইনি। হ্যাংলামো করিনি। টানাহ্যাঁচড়া কারা করেছে, সবাই দেখেছে। আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। গোটা দেশে কলকাতার, বাংলার মুখ পুড়েছে।'