কলকাতা: মহমেডান স্পোর্টিং-র দুর্দিন যেন কাটছে না। এমনই লিগ তালিকায় সবার নীচে দল। উপরন্ত. সম্মানরক্ষার কলকাতা ডার্বিতেও হরেছে সাদা কালো ব্রিগেড।। সপ্তাহান্তে চিরপ্রতিদ্বন্দরীর বিরুদ্ধে ০-৪ গোলে পরাজিত হয় মহামেডান স্পোর্টিং।
সহকারী কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু (Mehrajuddin Wadoo) মেনে নেন, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট যোগ্য দল হিসেবেই তাঁদের বিরদ্ধে (Mohammedan vs Mohun Bagan) জিতেছে। তবে সমালোচনা করেন তাঁর দলের মিডফিল্ডার কাসিমভের, যিনি এ দিন বিরতির আগেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ওয়াডু বলেন, “মোহনবাগান এসজি যে ভাল দল, ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচ কঠিন হবে, তা তো জানাই ছিল। কিন্তু ওরা তিনটে গোল করেছে সেটপিসে। লাল কার্ডও হয়েছে সরাসরি। মোহনবাগানের মতো দলের বিরুদ্ধে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলা যে কত কঠিন, তা নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছেন। তবে আমাদের ছেলেরা দ্বিতীয়ার্ধে খুবই ভাল লড়াই করেছে। নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। রক্ষণে ওরা শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল, গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু সেগুলো গোলে পরিণত করতে পারেনি। মানতেই হবে, মোহনবাগান আজ আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে”।
কাসিমভরের সমালোচনা করে মেহরাজউদ্দিন বলেন, “দলের জন্য খেলছ, অথচ ও ভাবে লাল কার্ড দেখছ, এটা আমি আশা করতে পারিনি। আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল কাসিমভের। ওর মাথায় রাখা উচিত ছিল যে কোনও দলের পক্ষেই মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দশ জনে খেলা কত কঠিন”।
পয়েন্ট টেবলের সর্বশেষ স্থানে থাকা মহমেডানের বিরুদ্ধে রীতিমতো দাপুটে ফুটবল খেলা বাগান-বাহিনী হয়তো আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত এ দিন। কিন্তু একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। অধিনায়ক শুভাশিস বসু (১২ ও ৪৩ মিনিটে) ও মনবীর সিংহ (২০ ও ৫৩), দুজনেই জোড়া গোল করে দলকে জয় এনে দেন। প্রথম লিগের ম্যাচে মহমেডানকে তিন গোলে হারিয়েছিল তারা। এ দিন জয় এল চার গোলে।