নয়াদিল্লি: সকলকে চমকে দিয়ে বেলজিয়ামকে পিছনে ফেলে নিজেদের গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাউন্ড অফ ১৬-তে নিজেদের জায়গা পাকা করেছিল রোমানিয়া। অস্ট্রিয়া তো ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসকে পিছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত দুই দলের সফর শেষ হয়ে গেল। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে (ROU vs NED) ৩-০ হারতে হল রোমানিয়াকে। অপরদিকে, সম্ভবত চলতি ইউরোর (UEFA Euro 2024) সেরা ম্যাচে লড়াই করেও তুরস্কের বিরুদ্ধে (AUT vs TUR) ২-১ পরাজিত হল অস্ট্রিয়া। 


নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খাতায় কলমে রোমানিয়া অনেকটাই পিছিয়েও থাকলেও, শুরুটা কিন্তু তাঁরা খারাপ করেনি। এমনকী ভার্জিল ভ্যান ডাইকের দলের বিরুদ্ধে লিড নেওয়ারও খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল রোমানিয়া। তবে অল্পের জন্য ডেনিস ম্যানের শট বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। রোমানিয়া সুযোগ নষ্ট করলেও ডাচরা তেমনটা করেননি। টুর্নামেন্টের সম্ভবত এখনও পর্যন্ত সেরা খেলোয়াড় কোডি গ্যাকপো টুর্নামেন্টের নিজের তৃতীয় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে প্রথম পোস্ট দিয়ে গোল হজম করায় রোমানিয়া গোলরক্ষকও সমালোচনার শিকার হন। জাভি সিমন্স দলের লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েও, তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধ ১-০ গোলেই শেষ হয়।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রোমানিয়া রক্ষণ এবং কিছুটা ভাগ্যের জেরে ম্যাচ ১-০ই ছিল। ডিপাইয়ের শট প্রতিহত হয়। ভ্যান ডাইক পোস্টে বল মারেন। গ্যাকপোর শট প্রতিহত করেন রোমানিয়া গোলরক্ষক ফ্লোরিয়ান নিতা। রোমানিয়া ম্যাচে ফেরার লড়াই চালাতে থাকে। ডাচরাও জয়ের জন্য ঝাঁপায়। শেষমেশ নেদারল্যান্ডস সাফল্য পায়। ৮৩ মিনিটে গ্যাকপোর পাস থেকে গোল করেন পরিবর্ত হিসাবে নামা মালেন। তিনিই ম্যাচের ইনজুরি টাইমে প্রতিআক্রমণ থেকে তৃতীয় গোলটিও করেন। এর সুবাদে ২০০৮ সালের প্রথমবার মহাদেশে সেরা হওয়ার টুর্নামেন্টের শেষ আটে পৌঁছল ডাচরা।


অপরদিকে, তুরস্ক বনাম অস্ট্রিয়া ম্যাচে জয়ের নায়ক মেরি ডেমিরাল। জুভেন্তাস প্রাক্তনী তুরস্কের হয়ে জোড়া গোল করেন। তিনিই মাত্র ৫৭ সেকেন্ডে ইউরোর নক আউট ইতিহাসের দ্রুততম গোলটি করেন। ম্যাচের প্রথম কর্নারেই আর্দা গুলারের দুরন্ত ক্রস রুখতে বাধ্য হয় অস্ট্রিয়া রক্ষণ। দুরন্ত ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অস্ট্রিয়াও সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। তবে তা তারা কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও কিন্তু প্রথমার্ধের মতোই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে যায়। তবে ডেমিরাল ৫৯ মিনিটে আবারও এক গোল করে দলকে খানিক স্বস্তি দেন।


সেই স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রাল্ফ ব়্যাগনিকের তত্ত্বাবধানে দুরন্ত ছন্দে থাকা অস্ট্রিয়ার হয়ে ব্যবধান অর্ধেক করেন গ্রেগরিচ। পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামা মার্ক আর্নাউটোভিচ অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে সমতা ফেরানোর খুব কাছাকাছি চলে আসেন। অস্ট্রিয়ার একের পর এক আক্রমণে এক কোণে হয়ে যায় তুরস্ক। তবে দুরন্ত ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে অস্ট্রিয়া সমতায় ফেরার খুব কাছাকাছি চলে এলেও ৯৫ মিনিটে মেরট গুণক তুরস্কের হয়ে দারুণ সেভ করেন। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষে জয় পায় তুরস্কই।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ ড্র, কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে