ডর্টমুন্ড: ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) মতো টুর্নামেন্টের দুই সেমিফাইনালের রুদ্ধশ্বাস চিত্রনাট্যই যেন লিখে রেখেছিলেন স্বয়ং ফুটবল ঈশ্বর। প্রথম সেমিফাইনালে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও চার মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে শক্তিশালী ফ্রান্সকে হারিয়েছিল স্পেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও সংযুক্ত সময়ের গোলে নাটকীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারাল ইংল্যান্ড (ENG vs NED)। পৌঁছে গেল ইউরো কাপের ফাইনালে। এই প্রথম দেশের বাইরে কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে ইংল্যান্ড ফুটবল দল। অন্যদিকে, ৬ বার ইউরো কাপের সেমিফাইনাল খেলে ৫ বারই হারল নেদারল্যান্ডস।
ম্যাচের শুরু দেখে অবশ্য কল্পনা করা যায়নি যে, শেষটা এরকম হবে। ডর্টমুন্ডের বিভিবি স্টেডিয়ামের গ্যালারি যেন দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল এদিন। একদিকে ইংল্যান্ডের সমর্থক। অন্যদিকে কমলা ঝড়। কিক অফের ৭ মিনিটের মাথায় গোল করে ডাচদের এগিয়ে দিয়েছিলেন জ়াভি সিমন্স (Xavi Simmons)। ইংল্যান্ড বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সিমন্স। নেদারল্যান্ডস এগিয়ে যায়।
তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। তার ৭ মিনিটের মধ্যে, ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় ইংরেজ অধিনায়ক হ্যারি কেনের শট বক্সের মধ্যে রুখতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ডেঞ্জেল ডামফ্রিস। ভার প্রযুক্তির সাহায্যে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি কেন। ম্যাচে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে যে ডামফ্রিসের জন্য পেনাল্টি পেয়েছিল ইংল্যান্ড, সেই তিনিই ডাচদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান। ফিল ফডেনের শট গোললাইনে রুখে দেন। নিশ্চিত গোল অল্পের জন্য পায়নি ইংল্যান্ড।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় ডামফ্রিসের হেড ক্রসবারে লাগে। তার ২ মিনিটের মধ্যে ফডেনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
৭৯ মিনিটে ইংল্যান্ডের সাকার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ম্যাচ গড়ায় সংযুক্ত সময়ে। যখন সকলে ধরেই নিয়েছেন যে, অতিরিক্ত সময়ের দিকে যাচ্ছে ম্যাচ, তখনই পরিবর্ত হিসাবে নামা অলি ওয়াটকিন্সের দুরন্ত গোলে ২-১ এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। রবিবার ভারতীয় সময় মাঝরাতে ফাইনালে অপরাজিত স্পেনের বিরুদ্ধে খেলবে ইংল্যান্ড।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।