নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ব্রেক শেষে ফের একবার শুরু হয়েছে ক্লাব ফুটবলের মরশুম। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে লিভারপুলের (Liverpool) বিরুদ্ধে পরাজিত হতে হয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে (Manchester United)। তবে প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) এ সপ্তাহের প্রথম ম্যাচেই জয়ের সরণিতে ফিরল ইউনাইটেড। অবশ্য ঘরের মাঠে পরাজিত হতে হল লিভারপুলকে। অপরদিকে, পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ( (Manchester City) প্রমাণ করল কেন তাঁরা এ মরশুমেও ফের একবার লিগ জয়ের সবথেকে বড় দাবিদার। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মরশুমের দ্রুততম গোল হজম করে পিছিয়ে পড়লেও ফের একবার জয় পেল সিটি। দলের হয়ে জোড়া গোল করে ইতিহাস গড়লেন আরলিং হালান্ড (Erling Haaland)।  


বিগত দুই ম্যাচে দুই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিকের হ্যাটট্রিক না হলেও, আরলিং হালান্ড জোড়া গোল করলেন। প্রিমিয়ার লিগের চার ম্যাচের পর নয় গোল করে ইতিহাসও গড়লেন। ২০১১-১২ মরশুমে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ওয়েন রুনি প্রথম চার ম্যাচে মোট আট গোল করেছিলেন। এটাই ছিল চার ম্যাচ শেষে কোনও তারকার প্রিমিয়ার লিগে করা সর্বোচ্চ গোল। তবে ম্যাঞ্চেস্টারের অপর অর্ধের তারকা স্ট্রাইকার এখন সেই রেকর্ডের মালিক। 


ম্যাচের মাত্র ২২ সেকেন্ডেই সকলকে চমকে দিয়ে বিজ়রা এতিহাদ স্টেডিয়ামে এগিয়ে যায়। উইসা ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে গোল করেন। তবে হালান্ড ১৯ ও ৩২ মিনিটে দুই গোল করে ম্যাটে ম্যান সিটিকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের কেউই কোনও গোল করতে পারেনি। শেষমেশ ২-১ স্কোরলাইনেই ম্যাচ শেষ হয়। অপরদিকে, সিটির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান ইউনাইটেডেও দুরন্ত জয় পায়। ১০ জনের সাদাম্পটন দলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে এরিক টেন হাগের দল। ম্য়াচের প্রথমার্ধে সাদাম্পটন পেনাল্টি পেলেও ম্যান ইউনাইটেড গোলরক্ষক ওনানা স্পট কিক সেভ করে দেন। সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।


ম্যান ইউনাইটেড দলের নতুন তারকা ম্যাথিয়াস ডি লিট ৩৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধ শেষের আগে মার্কাস রাশফোর্ড দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে জ্যাক স্টিফেন্সের লাল কার্ড সাদাম্পটের ম্যাচে ফেরার আশায় কার্যত জল ঢেলে দেয়। শেষ লগ্নে, ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচো দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। লিভারপুল আবার ঘরের মাঠে নিজেদের ম্যাচে ০-১ নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে পরাজিত হয়। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও, প্রথমার্ধে গোল পায়নি রেডসরা। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে নামা ক্যালাম হাডসন-ওডোয় ফরেস্টকে লিড এনে দেন। লিভারপুলের ফ্যাকাশে দেখানো ফরোয়ার্ড লাইন এর কোনও জবাব দিতে পারেনি। ফলে মরশুমে প্রথমবার পরাজিত হয় আর্নে সল্টের দল।







আরও পড়ুন: হতাশাজনক শুরু, আইএসএল মরশুমের প্রথম ম্যাচেই বেঙ্গালুরুর কাছে হার ইস্টবেঙ্গলের