বার্লিন: ২৭ বছর বয়সে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে (FIFA World Cup) খেলতে নামবে জার্মানির (Germany Football Team) তারকার ফরোয়ার্ড সার্জ ন্যাব্রি (Serge Gnabry)। হালে জার্মানদের বড় টুর্নামেন্টে সময়টা একেবারেই ভাল কাটেনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর, গত বছর ইউরোতেও প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল জার্মানিকে। তারপর বদলেছে কোচ। জোয়াকিম লোর বদলে দলের রিমোট কন্ট্রোল হাতে তুলে নিয়েছেন আট বছর আগে বিশ্বজয়ী জার্মান দলে তাঁর সহকারী হিসাবে কাজ করা হান্সি ফ্লিক (Hansi Flick)। নতুন কোচের অধীনে বিশ্বজয়ের আশায় বুঁদ ন্যাব্রি।


ইউরোর হতাশা যে এখনও জার্মান দলের তারকারা ভুলতে পারেননি, তা ন্যাব্রির কথা থেকেই স্পষ্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের দলের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, 'প্রত্যাশা প্রতিবার যেমন থাকে, এবারও তেমনই রয়েছে। জার্মান দল থেকে বরাবরাই তো সকলের প্রত্যাশা থাকেই এবং আমরা ভাল পারফর্ম করতে বদ্ধপরিকর। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা একেবারেই প্রত্যাশাপূরণ করতে পারিনি। ইউরোর হতাশার পরে এই বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে আমরা বাড়তি উদ্যম নিয়ে মাঠে নামব।'


আরও আগ্রাসী জার্মানি


নতুন কোচের অধীনে বিশ্বকাপ খেলবে চার বারের চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য ন্যাব্রি ও ফ্লিকের সম্পর্ক কিন্তু বহু পুরনো। বয়সভিত্তিক দলে কাজ করা থেকে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়, বহু পথ একসঙ্গে হেঁটেছেন কোচ-তারকা জুটি। এবার পালা জাতীয় দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার। কোচ বদলে ফেলে কি জার্মান দলে আগের থেকে তেমন কিছু বদল ঘটেছে? ন্যাব্রি বলছেন, 'কোচ বদলে হালকা কিছু বদল তো ঘটেই। আমরা বর্তমানে প্রতিপক্ষকে প্রেস করে আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে থাকি। অতীতে বল দখলে রাখা এবং ধীরে ধীরে আক্রমণ গড়ে তোলার দিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হত। এখন হান্সি ফ্লিকের অধীনে সেটা বদলেছে। বার্য়ানে ওঁর অধীনে আমরা প্রচুর সাফল্য পেয়েছি এবং জাতীয় দলও সেই পথেই এগোচ্ছে।'


স্পেনের বিরুদ্ধে বদলা


বিশ্বকাপে জার্মানির সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে আরেক প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। রয়েছে জাপান, কোস্টা রিকাও। স্পেনের বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৬-০ গোলে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল জার্মানদের। সেই  বিরুদ্ধে ম্যাচই গ্রুপ বিজেতা নির্ধারণ করবে বলে মনে করছেন ন্যাব্রি। 'আমরা জানি স্পেনের বিরুদ্ধে আমাদের গত ম্যাচের ফলাফল খুবই খারাপ ছিল। তবে বিশ্বকাপে আমরা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামব। আমার মনে হয় এই ম্যাচটাই গ্রুপ বিজেতা হওয়া বা প্রথমে দুইয়ে শেষ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আমাদের এই ম্যাচটা জিততেই হবে। শেষ হারের ক্ষতটা এখনও রয়েছে, তাই ওঁদের হারিয়ে সেই ক্ষতে মলম লাগাতে চাই।'


বুধবার, ২৩ নভেম্বর জাপানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে জার্মানি। তারপর ২৮ তারিখ স্পেন ও ২ ডিসেম্বর কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবেন ন্যাব্রিরা।


আরও পড়ুন: টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাতারে পৌঁছে গেল মেসির আর্জেন্তিনা