বার্সেলোনা: কোপা আমেরিকার (Copa America 2024) মঞ্চে রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। বুধবার ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটার ম্যাচে কানাডার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে গোল করেছেন। সেই সঙ্গে ভেঙে দিয়েছেন ইরানের আলি দাইয়ের রেকর্ড। মেসির ঝুলিতে এখন ১০৯ গোল। ফুটবলের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।


ইউরো কাপে (Euro Cup 2024) নজির গড়েছেন স্পেনের লামিন ইয়ামাল (Lamine Yamal)। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে ইউরো কাপে খেলছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোলও করেছেন। তিনিই সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার, যাঁর ইউরো কাপে গোল রয়েছে।


আর এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে মেসিকে দেখা যাচ্ছে, শিশু ইয়ামালকে স্নান করিয়ে দিচ্ছেন। যা দেখে অনেকে হতবাক। ছবিটি কি ফটোশপ করে বানানো? নাকি সত্যিই স্পেনের বিস্ময় তারকাকে স্নান করিয়ে দিয়েছিলেন ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা?


ঘটনা হচ্ছে, ছবিটি যে সময়কার, সেই ২০০৭ সালে মেসি ছিলেন ক্যাম্প ন্যু-তে। বার্সেলোনা শিবিরে। সেই সময়ই একটি চ্যারিটি ক্যালেন্ডার বানিয়েছিল বার্সেলোনা। তার ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছিলেন মেসিও। আর্জেন্তিনার সুপারস্টারের বয়স তখন মাত্র ২০। তবে তিনি যে অসামান্য এক প্রতিভা, সেই পরিচয় পেয়ে গিয়েছে গোটা ফুটবল বিশ্ব।


কিন্তু সেদিন সেই ফটোশ্যুটের সময় ফটোগ্রাফার ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি যে, একজন ফুটবল গ্রহের সেরা নক্ষত্র হয়ে উঠবেন। আর একজন আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিস্ময় হবেন একদিন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে উঠে আসবেন শিরোনামে।


ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইউরো সেমিফাইনালে ইয়ামালের গোল নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। ১৬ বছর ৩৬২ দিনের মাথায় গোল করেছেন ইয়ামাল। ইউরো কাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। বলা হচ্ছে, চলতি ইউরোর সেরা তো বটেই, বিশ্ব ফুটবলের সেরা গোলগুলির মধ্যে জায়গা করে নেবে ইয়ামালের গোলটি।


গত সপ্তাহে সেই পুরনো ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ইয়ামালের বাবা। সঙ্গে লেখেন, 'দুই কিংবদন্তির শুরু।' শেয়ার করেন ইয়ামাল নিজেও। তারপর থেকেই ছবিটি ভাইরাল।


ছবিটি তুলেছিলেন জোন মোনফোর্ট। যিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ফ্রিলান্সার চিত্রগ্রাহক হিসাবে কাজ করেন। স্পেনের মাতারো শহরে, যেখানে ইয়ামালের বাড়ি, সেখানেই একটি প্রকল্প নিয়েছিল ইউনিসেফ। তারই অংশ ছিল এই ফটোশ্যুট। মনফোর্ট বলেছেন, 'ওরা ঠিক করেছিল ক্যাম্প ন্যু-তে বার্সেলোনার কোনও ফুটবলারকে নিয়ে ছবি তুলবে।'


তবে অ্যাসাইনমেন্টটা সহজ ছিল না মনফোর্টের কাছে। তাঁর কথায়, 'মেসি খুব অন্তর্মুখী একজন মানুষ। লাজুক প্রকৃতির। ও একটা লকার রুম থেকে বেরিয়ে আসার পরই আর একটা লকার রুমে নিয়ে যাওয়া হয় ও সেখানে একটা প্লাস্টিকের বাথটাব আর তার ভেতর একটি শিশুকে আবিষ্কার করে। খুবই জটিল পরিস্থিতি ছিল। মেসি তো বুঝতেই পারেনি শিশুটিকে কীভাবে ধরতে হবে।'


মেসির মতোই ইয়ামালও পরে বার্সেলোনার হয়ে খেলেন। ক্লাবের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার ও গোলস্কোরারও ইয়ামাল। মনফোর্ট জানিয়েছেন, ছবিটি দিনকয়েক আগে ভাইরাল হওয়ার পর তিনি আবিষ্কার করেন যে, সেটি ইয়ামালের।


আরও পড়ুন: গোল করে নতুন রেকর্ড মেসির, কানাডাকে ২-০ উড়িয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্তিনা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।