নয়াদিল্লি: ২০০০ সালে ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আজীবন নির্বাসিত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি বিসিসিআই-এর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন। ২০১২ সালে তাঁর আজীবন নির্বাসনের সাজা ‘বেআইনি’ বলে রায় দেয় আদালত। এরপর ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আজহার। তবে ২০ বছর পরেও নির্বাসিত হওয়ার গ্লানির কথা ভুলতে পারছেন না তিনি। তাঁর দাবি, কী কারণে নির্বাসিত হয়েছিলেন, সেটা এখনও জানেন না।

পাকিস্তানের একটি ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজহার বলেছেন, ‘যা হয়েছে, তার জন্য আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। আমাকে কী কারণে নির্বাসিত করা হয়েছিল, সেটা জানি না। তবে আমি এর বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ১২ বছর পরে নির্বাসনমুক্ত হওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর যখন বিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে যাই, তখন মানসিক তৃপ্তি হয়েছিল।’

আজহার আরও বলেছেন, ‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। কপালে যা লেখা সেটা হবেই। এখন আমি এভাবেই বিষয়টি দেখি, এখন খেলোয়াড় যদি ভাল হয়, তাহলে সে ১০০টিরও বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলে। তাই আমার মনে হয়, ৯৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না। আমি ১৬-১৭ বছর ধরে খেলেছি। তার মধ্যে ১০ বছর অধিনায়ক ছিলাম। আর কী চাইতে পারি?’

ভারতীয় দলের হয়ে ৯৯টি টেস্ট ম্যাচে ৬,১২৫ রান করেন আজহার। তাঁর গড় ৪৫। ৩৩৪টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩৬.৯২ গড়ে তাঁর মোট রান ৯,৩৭৮। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। তিনটি বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দেন তিনি। টানা তিনটি শতরান করে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছিলেন। লেগ-সাইডে তিনি অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যাটসম্যান ছিলেন। তবে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষটা একেবারেই ভাল হয়নি। তাঁর সেই আফশোস রয়েই গিয়েছে।