কলকাতা: তিনি বাংলার গর্ব। তিনি বাঙালির গর্ব। তিনি বাংলার মহারাজ। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সৌরভের জন্মদিন। ৮ জুলাই আটচল্লিশ পেরিয়ে উনপঞ্চাশে পা রাখতে চলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি।


বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে ২০১৯ সালে পথ চলা শুরু করেছিলেন সৌরভ। ক্রিকেট ছাড়াও পর থেকেই ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে যথেষ্ঠ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সৌরভ। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার আগে।


২০১৪ সাল থেকে সিএবির সভাপতি হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন সৌরভ। সেই সময় সিএবির সচিব ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। যিনি সম্পর্কে জগমোহন ডালমিয়ার ছেলে হন। এরপর ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ সিএবি ছাড়ার পর অভিষেকই এখন সিএবির সভাপতি।


২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ৩৯ তম সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। তিনিও গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশের যুগ্ম সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন। এই মুহূর্তে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবেও কাজ করছেন।


বিসিসিআইয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি যদি কেউ ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত থাকেন, তবে তাঁকে ৩ বছরের জন্য কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হয়। সিএবি ও বিসিসিআই মিলে ২০২০ সালে জুলাই মাসে সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায় সৌরভের। যদিও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এখনও সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়নি। তা ঝুলে রয়েছে। ফলে আপাতত বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবেই কাজ করছেন সৌরভ।


ক্রিকেটার হিসেবে অজস্র নাম ও খ্যাতি কুড়িয়েছেন সৌরভ। ভারতের অধিনায়কও ছিলেন। নেতা হিসেবে তাঁর সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০০১ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেন টেস্ট জয়, ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা। জোহানেসবার্গে যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হতে হয়েছিল সৌরভের টিম ইন্ডিয়ার। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান সৌরভ।