নয়াদিল্লি: প্যারা সুইমিং প্রতিযোগিতায় তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। হাওড়ার (Howrah) সালকিয়ার (Salkia) প্যারা সুইমার তিন তিনবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। কিন্তু এবার জীবনের লড়াইয়ে হেরে গেলেন এই কিশোর। বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর। বুধবার সকালে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নয়াদিল্লির জিবি পন্ত হাসপাতালে মারা যান অমর্ত্য। তবে অমর্ত্যর মৃত্যুর পরে চিন্তায় পড়েছেন তাঁর বাবা অমিতোষ চক্রবর্তীও। নিজের সব সঞ্চয় ছেলের চিকিৎসার জন্য সব অর্থ খরচ করে দিয়েছিলেন তিনি। ক্রীড়ামন্ত্রক ও প্যারালিম্পিক কমিটি অফ ইন্ডিয়া (পিসিআই) থেকে আর্থিক সহায়তার জন্য বারবার অনুরোধ করেও কোনও সাহায্য পাননি তিনি। 


মৃত ছেলের দেহ ফেরত পেতে আর্থিক সাহায্যের আর্জি 


অমর্ত্যর বাবা অমিতোষের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে ছেলের দেহ ফেরানোর খরচও বইতে পারছেন না তিনি। ছেলের মৃতদেহ দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সালকিয়ায় তার নিজের শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করছেন অমিতোষ। সংবাদ সংস্থাকে অমিতোষ বলেন, ''আমার অবস্থা ভিক্ষুকের মতো হয়ে গেছে। কোনও আমানত-পুঁজি নেই,তাঁর চিকিৎসায় সব খরচ করেছি, ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।''


প্রকাশ্যে ক্লাবের অন্তর্দ্বন্দ্ব


ফের প্রকাশ্যে মোহনবাগান ক্লাব (Mohun Bagan Athletic Club) কর্তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব। মাঠ সচিব পদ থেকে ইস্তফা তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের। নতুন মাঠ সচিব ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আত্মীয় পিন্টু বিশ্বাস। এদিকে, মোহনবাগানের মাঠ সচিব হিসেবে পিন্টুর নাম প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ক্লাবের ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’বছর ক্লাবের সদস্যপদ নবীকরণ করেননি পিন্টু, দাবি স্বপনের।


এএফসি কাপের মূলপর্বে এটিকে মোহনবাগান


গতকালই এএফসি কাপের ম্যাচে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড ঢাকাকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে মূলপর্বে পৌঁছে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। মাঠে হুগো বুমোস, ডেভিড উইলিয়ামস, লিস্টন কোলাসোরা ফুল ফোটালেও, মাঠের বাইরে কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বে বাগানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি সমর্থকদের। 


এবারের আইএসএল-এ প্লে অফে পৌঁছলেও, সেখানেই থেমে যায় গতবারের ফাইনালিস্ট এটিকে মোহনবাগানের লড়াই। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সবুজ-মেরুনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় হায়দরাবাদ এফসি। এরপর দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে জয় পায় এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে চলে যায় হায়দরাবাদ। তারাই শেষপর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়।