নয়াদিল্লি: বিস্ফোরক দানিশ কানেরিয়া। মামা অনিল দলপতের পর পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা একমাত্র হিন্দু দানিশের দাবি, শাহিদ আফ্রিদি তাঁর প্রতি অবিচার করেছেন, তাঁর সীমিত ওভারের ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের হয়ে ৬১ টি টেস্টে ২৬১টি উইকেট নিয়েছেন দানিশ, গড় ৩৪.৭৯। তবে ২০০০ থেকে ২০১০ এর মাধ্যমে তিনি একদিনের ম্য়াচ খেলেছেন মাত্র ১৮টি। এর পিছনে ধর্ম ছাড়া আর কোনও কারণের কথা তাঁর পক্ষে ভাবা কঠিন বলে জানিয়েছেন দানিশ। তিনি ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার কিনা, প্রশ্ন করা হলে দানিশ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে একসঙ্গে খেলা বা আমায় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলানো, সবসময়ই ও আমার বিরোধিতা করেছে। একটা লোক সবসময় আপনার বিরুদ্ধে গেলে, এটা ছাড়া আর কী কারণ থাকতে পারে বলে ভাবব।


কিছুদিন আগে প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ধর্মীয় কারণেই টিমে দানিশের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হত, আফ্রিদি না থাকলে দানিশ ১৮-র বেশি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলত। দানিশও বলেছেন, ওর জন্যই বেশি একদিনের ম্যাচ খেলতে পারিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও একসঙ্গে খেলার সময় আমার প্রতি অন্য়ায় করেছে ও। অধিনায়ক ছিল। টিমের বাইরে রাখত আমায়। বিনা কারণে একদিনের দলেও সেটাই করত। আমার নয়, অন্য়দের পাশে দাঁড়াত। তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদে তারপরও পাকিস্তানের হয়ে অনেক খেলেছি, সেজন্য় কম গর্ব নেই আমার।
নিয়মিত একদিনের স্কোয়াডে থাকা সত্ত্বেও খেলার সুযোগ বলতে গেলে পেতেনই না বলে জানিয়ে আফ্রিদিকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, আমি ছিলাম লেগ স্পিনার, ও-ও তাই। সেটাও আরেকটা কারণ। বড় স্টার, পাকিস্তানের হয়ে খেলেছে। কিন্তু আমার সঙ্গে যে আচরণ করত, বুঝতাম না কেন। বলা হত, ১১ জনের টিমে দুটো স্পিনার খেলতে পারে না। বলা হত, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আমার ফিল্ডিং ভাল নয়। কিন্তু সে সময় কে-ই বা চূড়ন্ত ফিট ছিল? মাত্র দুজন ভাল ফিল্ডার ছিল। পাকিস্তানের কখনই ফিল্ডিংয়ের জন্য় সুনাম ছিল না। ম্যাচ গড়াপেটায় দোষী সাব্যস্ত

দানিশ ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত। খেলায় ফিরতে চেয়ে বহুদিন ধরেই পাক ক্রিকেট বোর্ডের সাহায্য প্রার্থনা করছেন তিনি। দানিশ বলেছেন, ধর্মের তাস খেলতে চাই না। পিসিবির মদত চাই। মহম্মদ আমির, সলমন বাটদের ফেরানো গেলে আমায় কেন নয়? হ্যাঁ, ভুল করেছি। অন্যরাও করেছে। আমায় ব্য়বহার করে টয়লেট পেপারের মতো ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন পাকিস্তানের সেবা করেছি, এবার আমায় সমর্থন করা উচিত ওদের।