দোহা: ২০১৮ সালের পর ২০২২। চার বছর পর আবার। আবার কিলিয়ান এমবাপে, গ্রিজম্যান, জিহু, দেম্বেলেরা। আবার দিদিয়ের দেশঁ। ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স। মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ফরাসি ব্রিগেড। এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বিশ্বজয়ের অন্যতম দাবিদার ফ্রান্স। এবার সামনে শুধু ফ্রান্স। আগামী ১৮ তারিখ মেসির দলের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতে পারলেই টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বজয় করবে ফ্রান্স।


এবারের বিশ্বকাপে বারবার চমকে দিয়েছে মরক্কো। এদিনও কি তেমনই হবে? এই প্রশ্নই সবার মাথায় ঘুরছিল। ফ্রান্সকে আটকে দেবে মরক্কো এমন আশায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু প্রথমার্ধে খেলার ৫ মিনিটের মধ্যেই থিও হার্নান্ডেজের গোলই সব হিসেব পাল্টে দিল। এগিয়ে গেল ফ্রান্স। শুরুতেই ধাক্কা খেল আফ্রিকার দেশটি। এরপর থেকে ২ দলই তাঁদের আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে হার্নান্ডেজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অথচ এই ম্যাচে তিনিই প্রথম গোলটি করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় ওউনাহির দুরন্ত শট আটকে দেন হুগো লরিস। এদিন কিছুটা আনফিট পরিস্থিতিতেই মাঠে নেমেছিলেন মরক্কোর অধিনায়ক রোমেন সেইস। ম্যাচের গুরুত্ব বুঝে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারলেন না। ১৬ মিনিটের মাথায় তাঁকে বসিয়ে দেন মরক্কোর কোচ। 


গোল হজম করার পর বল পাস ও বল পজিশনে অনেকটা টেক্কা ফ্রান্সকে দিয়েছিল মরক্কো। একটা সময় ৫৭ শতাংশ বল পজিশন নিয়ে খেলছিল মরক্কো। ৪৩ শতাংশ বল পজিশন দেশঁর দলের। কিন্তু বারবার ডি বক্সে ঢুকেও গোলমুখ খুলতে পারেননি জিয়েশ, হাকিমিরা।


দ্বিতীয়ার্ধে নেমে কিলিয়ান এমবাপে পরপর সুযোগ তৈরি করছিলেন। উল্টোদিকে মাঠের ডানদিক থেকে জুটি বেঁধে ফ্রান্সের বক্সে বারবার হানা দিচ্ছিলেন জিয়েশ ও হাকিমি। দেশঁ জিহুকে বসিয়ে থুরামকে নামান। অন্যদিকে দেম্বেলেকে বসিয়ে নামান কোলো মুয়ানিকে। এরপরই ৭৯ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। থুরামের থেকে পাস নিয়ে মরক্কোর বক্সে ৩-৪ জনকে কাটিয়ে বল মুয়ানির দিকে বাড়িয়ে দেন এমবাপে। গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি মুয়ানি। ২-০ ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার পর ফ্রান্সের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে ম্য়াচ হারলেও গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সবার মন জয় করে নিয়েছেন মরক্কোর ফুটবলাররা।