দোহা: প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্তিনা ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আরও একবার ফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ ফ্রান্সের সামনে। সামনে প্রতিপক্ষ মরক্কো। খাতায় কলমে কেউ হয়ত তাদের গুরুত্ব দেবে না। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন ঘটিয়েছে আফ্রিকার এই দলটি। গ্রুপ পর্বে বেলজিয়ামকে হারিয়েছে। শেষ ষোলোয় স্পেন ও শেষ আটে পর্তুগালকে হারিয়ে দিয়েছে মরক্কো। এখনও পর্যন্ত কানাডা ম্যাচে একটি আত্মঘাতী গোল ছাড়া কোনও গোল হজম করেনি এই দলটি। যা বুঝিয়ে দেয় যে মরক্কোর ডিফেন্স কতটা শক্তিশালী এবারের টুর্নামেন্টে।

  


ষাট, সত্তর ও আশির দশকে আনফিসিয়াল ম্যাচও খেলেছিল ফ্রান্স ও মরক্কো। বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফ্রান্স ও মরক্কো। অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখন পর্যন্ত দুই দল পাঁচবার পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে; প্রথম দেখা ১৯৮৮ সালে, যেখানে ২-১ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাক্ষাতে ৩ বার জয় পেয়েছে ফ্রান্স। ২ বার জিতেছে মরক্কো।


বিশ্বকাপের মঞ্চে এর আগে কখনও এই ২ দল মুখােমুখি হয়নি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ২ দলের সাক্ষাতে ফ্রান্স অপরাজিত। ২০০৭ সালে শেষবার একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ফ্রান্স ও মরক্কো মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার ২-২ ড্র হয়েছিল ম্যাচ। কোনও দলকে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে তোলা প্রথম আরব কোচ হলেন ওয়ালিদ রেগরাগুইয়। গত সেপ্টেম্বরে মরক্কোর দায়িত্ব নেন তিনি। তাঁর কোচিংয়ে এখনও পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে অপরাজিত উত্তর আফ্রিকার এই দল।


কবে অবসর নেবেন মেসি?


আশঙ্কা ছিলই। আর হয়তো সেই স্কিলের ঝলক বিশ্বমঞ্চে দেখা যাবে না। হয়তো, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। কারণ, বয়সের সঙ্গে লড়াইটা যে কোনও খেলোয়াড়ে কাছে 'অসম'। একটা সময় থামতেই হয়। সেই আশঙ্কাতেই এবার সিলমোহর পড়ল। কার্যত তিনিই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। হ্যাঁ, বিশ্বকাপের ফাইনাল-ই তাঁর বিশ্বকাপ জার্নির শেষ খেলা হতে চলেছে, সে কথা কার্যত বলেই দিলেন লিওনেল মেসি। 


সেমিফাইনালে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্স আরও একবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে ভক্তদের। অব্যর্থ পেনাল্টি শট, এমনকী দলের হয়ে তৃতীয় গোলের ভিতও গড়ে দিন তিনিই। কার্যত তাঁর এই পারফরম্যান্স সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া বধের অন্যতম চাবিকাঠি। ৩-০ গোলে আর্জেন্তিনার জয়লাভের পর এবার ফাইনালের প্রস্তুতি। আর তাঁর ঠিক প্রাক্কালেই এল ফ্যানদের মন ভেঙে দেওয়া সেই খবর। আর্জেন্তিনার মিডিয়া আউটলেট Diario Deportivo Ole-কে তিনি জানিয়েছেন, ফাইনালে শেষ খেলা খেলে বিশ্বকাপ জার্নি শেষ করতে পারলে তিনি খুব খুশি হবেন।


তাঁর সংযোজন, "পরেরটার জন্য অনেকটা বছরের অপেক্ষা করতে হবে। মনে হয় না, সেটা আর সম্ভব হবে। তাই, যদি এভাবে শেষ করতে পারি তাহলে সেটাই হবে সেরা।"