হাতের নখ থেকে অ্যাল্পেনলিবে-- সময়ে সময়ে বদলেছে বল-বিকৃতির মাধ্যম...
আর এখন, স্যান্ড পেপার দিয়ে বলে কারচুপি করার ঘটনা ঘটল।
এখানেই শেষ নয়। অনেক ক্ষেত্রে তো একবারে বুটের স্পাইক দিয়েও বলে কারচুপি করার ঘটনা ঘটেছে।
বল খসখসে করতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো ‘ব্লেড’ ও ‘ট্রাউজারের জিপার’।
শুধু চকচকে দিক নয়। খসখসে দিকেও কারচুপি করা হয়। বিশেষ করে কিছুটা পুরনো হয়ে যাওয়া বলে। যাতে রিভার্স সুইং আদায় করা যায়। যেমন, হাতের নখ দিয়ে ক্রমাগত বল খুঁটে একদিক খসখসে করে দেওয়ার পন্থা বহু পুরনো। এর মাধ্যমে বলে কারচুপি করা হতো।
বিভিন্ন ধরনের ‘সান ক্রিম’ যা ক্রিকেটাররা নিজেদের মুখে লাগান, তাও বল চকচকে রাখতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রিভার্স সুইং আদায় করতে বলের চকচকে দিকে ‘ভেসলিন’ ও ‘লিপ বাম’-ও ব্যবহার করার ঘটনা ঘটেছে।
বলকে চকচকে রাখতে জনপ্রিয় ‘অ্যাল্পেনলিবে’ ক্যান্ডি ভীষণভাবে ব্যবহার করা হতো একসময়ে।
এছাড়া, বল চকচকে রাখতে ব্যবহার করা হয় ‘জেলি বিনস’।
ইংল্যান্ডের বোলাররা বহু ক্ষেত্রে বলের চকচকে দিকে ‘মারে মিন্ট’ ব্যবহার করতেন।
শরীরের ঘাম হোক বা মুখের লালা-- বিভিন্ন সময়ে একাধিক বস্তু দিয়ে বলের দুই দিকে (চকচকে ও খসখসে) পরিবর্তন করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে, স্যান্ড পেপারই একমাত্র বস্তু নয়, যা বলে কারচুপি বা বিকৃতি ঘটানোর জন্য ব্যবহৃত হলো।
অস্ট্রেলীয় ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট হলেন সর্বশেষ অপরাধী যিনি শনিবার অতিরিক্ত সুইং আদায় করার জন্য বলে স্যান্ড পেপার ঘষার সময়ে ধরা পড়েন ক্যামেরায়।
যেহেতু পাকিস্তানি বোলাররা ক্রিকেটে রিভার্স সুইংয়ের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে ওই রিভার্স সুইং আদায় করতে মাঠে অস্বাভাবিক কিছু কাজ করতে দেখা যেত পাক ক্রিকেটারদের।