নয়াদিল্লি: ১০২১ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। অবশেষে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এ বারের এশিয়া কাপে ভারতের (Indian Cricket Team) শেষ ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সকলেই মনে করছেন এই শতরানের পরেই বিরাটকে আবার আগের ছন্দে দেখা যাবে। তবে এই সবের মধ্যেও প্রাক্তন ভারতীয় তারকা গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, একমাত্র বিরাট কোহলি বলেই তিনি এতদিন দলে জায়গা পেয়েছেন। নয়তো অন্য় কোনও খেলোয়াড় হলে খারাপ ফর্মের জেরে বহু আগেই তাঁকে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হত।


চলতি এশিয়া কাপের আগে বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না। ইংল্যান্ড সিরিজে তিন ফর্ম্যাটেই বিরাটের ব্যর্থতায় অনেক বিশেষজ্ঞই ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। তবে দীর্ঘ এক মাস ছুটি কাটিয়ে এশিয়া কাপে আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েই সাফল্য পেয়েছেন বিরাট। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬১ বলে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এখনও অবধি ১৪৭.৫৯-র স্ট্রাইক রেট ও ৯২-র গড় নিয়ে বিরাটের করা ২৭৬ রানই চলতি এশিয়া কাপে কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। তবে গম্ভীর বরাবরই স্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করার জন্য পরিচিত। তাঁর মতে রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা কেউই এত দীর্ঘ সময় ফর্মে না থাকলে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়তেন।


স্পষ্টবাক গম্ভীর


বিরাটের প্রাক্তন সতীর্থ বলেন, 'তিন বছরটা, তিন মাসের সমান নয়, এটা একটা দীর্ঘ সময়। আমি ওর সমালোচনা করতে চাই না। তবে স্রেফ অতীতের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদেই বিরাট এতদিন সুযোগ পেয়েছে। আমার মনে হয় না কোনও তরুণ ব্যাটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন বছর শতরান না করে টিকে থাকতে পারত। তবে শেষমেশ ও কখনও না কখনও তো ফর্মে ফিরতেই এবং একেবারে সঠিক সময়েই ফর্মে ফিরেছে। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে এবং ও শতরান করায় নিজের কাঁধ থেকে একটা বড় বোঝা হালকা করে ফেলেছে।' 


বিরাট বলেই সম্ভব


গম্ভীর আরও বলেন, 'সত্যি বলতে আমার মনে হয় না (ভারতীয়) সাজঘরের কেউই তিন বছর শতরান না করে দলে থাকতে পারত। রাহানে, রোহিত শর্মা, অশ্বিন, কেএল রাহুলদের তো সকলকেই কোনও না কোনও সময়ে বাইরে বসতে হয়েছে। আমি এমন একজনকেও চিনি না যে তিন বছর শতরান না করে দলে জায়গা পেয়েছে। এটা বিরাট কোহলি বলেই সম্ভব হয়েছে এবং ও নিজের কৃতিত্বে এইটুকু অর্জন করেছে।' ভারতীয় সমর্থকরা আশা করবেন বিরাট কোহলির এই ফর্ম যেন আসন্ন ম্যাচগুলিতেও অব্যাহত থাকে। এশিয়া কাপের পরে বিরাটকে সম্ভবত ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে দেখা যাবে।


আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে কোহলিকে দিয়েই ওপেন করানোর পরামর্শ, রেগে আগুন রাহুল