কলকাতা: ফের ইডেনে ব্যাট হাতে নামলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (sourav ganguly)। হাঁকালেন পেল্লাই ছক্কা। মুম্বইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড (ind vs nz) দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে শতরান হাঁকালেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল (mayank agarwal)। আইএসএলে ডার্বিতে হারের ধাক্কা সামনে ড্র করল এসসি ইস্টবেঙ্গল (sc east bengal)। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র লাল হলুদের। দেখে নিন একঝলকে আজকের সেরা খেলার খবরগুলো।
ইডেনে বাপি বাড়ি যা
বোর্ডের এজিএমের (agm) আগে ইডেনের ২২ গজে সৌরভ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশ বনাম বোর্ড সচিব একাদশ। ব্যাট হাতে স্বমহিমায় সৌরভ (sourav ganguly) গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভের টিমে রয়েছেন আজহারউদ্দিনও (mohammad azharuddin)। এদিন ইডেনে তাঁর দল না জিতলেও ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেললেন সৌরভ। কলকাতায় কাল বিসিসিআইয়ের (bcci) বার্ষিক সাধারণ সভা। তার আগে ইডেনে ফিরল একরাশ নস্টালজিয়া। ফের ২২ গজে স্বমহিমায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনের ম্যাচে বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের মুখোমুখি বোর্ড সচিব একাদশ। খেলা হয় ১০ ওভারে। প্রদর্শনী ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমেই মহারাজের স্টেপ আউট। মারেন তিনটি ওভার বাউন্ডারি। অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। বোলিং করতেও দেখা গেল তাঁকে। যদিও, মাত্র ১ রানে হেরে যায় তাঁর দল। সৌরভের টিমে খেলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন ও অভিষেক ডালমিয়াও।
মুম্বইয়ে ময়ঙ্কের সেঞ্চুরি
টেস্ট কেরিয়ারের চতুর্থ শতরান হাঁকালেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল (mayank agarwal)। বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না। দ্বিতীয় টেস্টের (test) আগেও তাঁর দলে থাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। মনে করা হয়েছিল যে বিরাট (virat kohli)) প্রথম একাদশে ঢুকলে সেক্ষেত্রে বসতে হতে পারে ময়ঙ্ককেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল তিনিই নামলেন শুভমন গিলের সঙ্গে। আর শুধু নামলেনই না, সেঞ্চুরিও হাঁকালেন দলের সবচেয়ে দরকারের সময়। এদিন ১৯৬ বলে নিজের টেস্ট কেরিয়ারের চতুর্থ শতরান পূরণ করেন ময়ঙ্ক। ড্যারেল মিচেলকে ম্যাচের ৫৯ তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই শতরান পূরণ করেন তিনি।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ড্র লাল হলুদের
চলতি আইএসএল-এ জোড়া হারের ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আজ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চেন্নাইয়ান এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেন ড্যানিয়েল চিমা চুকুরা। ফলে ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট হল লাল-হলুদ ব্রিগেডের। পয়েন্টের চেয়েও বড় কথা, দলটার আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গেল। লাল-হলুদ জার্সি যে লড়াইয়ের জন্য ১০০ বছর ধরে বিখ্যাত, সেটা যেন এই ম্যাচে ফিরে এল। সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
পরপর দু’টি ম্যাচ হেরে দলটা প্রচণ্ড চাপে ছিল। বিশেষ করে যেখানে স্বয়ং কোচ তাঁর দলের মান নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে শুভম সেন, মহম্মদ রফিক, হীরা মণ্ডলের মতো বঙ্গসন্তানদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদ ছিল। প্রত্যেকেই দুরন্ত লড়াই করলেন। বিশেষ করে তরুণ গোলকিপার শুভম সেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে কেরিয়ারে ৮০০ গোলের মালিক হলেন রোনাল্ডো