করাচি: একেই বোধহয় বলে মিরাক্যল!
প্রায় ৬ মিনিট ধরে হৃদস্পন্দন বন্ধ থাকার পরও ফের প্রাণ ফিরে পেলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হানিফ মহম্মদ।
বর্তমানে আগা খান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮১ বছরের হানিফ। ফুসফুসের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল সেখানে। পাশাপাশি, সম্প্রতি তাঁর শ্বাসজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে, গত ৩০ তারিখ থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।
এদিন সকালে তাঁর ছেলে তথা টেস্ট ক্রিকেটার শোয়েব মহম্মদ সাংবাদিকদের কাছে তাঁর বাবার প্রয়াণের খবর জানান। কিন্তু, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর বাবা এখনও জীবিত আছেন। তিনি জানান, তাঁর বাবার হৃদস্পন্দন প্রায় ৬ মিনিটের জন্য থেমে গিয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসকদের চেষ্টায় পুনরায় তাঁর শরীরে প্রাণ ফিরে আসে বলে দাবি শোয়েবের।
শোয়েব জানান, গত রবিবার থেকেই তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল। তিনি বলেন, এদিন প্রথমে আমাকে হানিফের মৃত্যুর খবর দেয় এক আত্মীয়। হাসপাতালে পৌঁছেই আমি কাঁদতে শুরু করি। কিন্তু, চিকিৎসকরা জানান, হৃদস্পন্দন ৬ মিনিট বন্ধ হলেও, পরে তা ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
একে মিরাক্যল বলে উল্লেখ করে শোয়েব যোগ করেন, ঈশ্বর তাঁর বাবাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, অগনিত ভক্তকূলের প্রার্থনার ফলেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তাঁর বাবা। শোয়েব আরও জানান, বর্তমানে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে তাঁর বাবাকে।
প্রসঙ্গত ২০১৩ সালে ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়ে হানিফের। লন্ডনে গিয়ে সফল অস্ত্রোপচার করে আসেন তিনি। কিন্তু, ফরে মারণ রোগ থাবা বসায় তাঁর শরীরে।
দেশের হয়ে ৫৫টি টেস্ট খেলেছেন হানিফ। স্বাধীনতা-উত্তর যুগে পাকিস্তানের প্রথম যে দলটি ভারত সফরে এসেছিল, তাতে ছিলেন হানিফ। সেটা ১৯৫৪-৫৫ সাল। ১৯৫৭-৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ৩৩৭ রান করে রেকর্ড করেছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড ৪০ বছরের ওপর অক্ষুণ্ণ ছিল। পাশাপাশি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এক ইনিংসে তিনি ৪৯৯ রান করেছিলেন।
ক্রিকেটের ময়দানে তাঁকে আউট করা প্রায় দুঃসাধ্য ছিল। জীবন যুদ্ধেও সেই ধারা ধরে রাখলেন হানিফ।
হৃদস্পন্দন বন্ধ ৬ মিনিট, ফের বেঁচে উঠলেন হানিফ মহম্মদ
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
11 Aug 2016 10:17 AM (IST)
NEXT
PREV
খেলা (sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -