কলকাতা: তিনি যখন জাতীয় দলে প্রথম ডাক পান, হরভজন সিংহ (Harbhajan Singh) তখন মহাতারকা। দলে বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) মতো বড় নামের ছড়াছড়ি। স্বাভাবিকভাবেই ড্রেসিংরুমে একটু জড়সড় হয়েছিলেন কে এল রাহুল (K L Rahul)।
কিন্তু সমস্ত জড়তা কাটিয়ে দিয়েছিলেন হরভজনই। তরুণ সতীর্থকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এত আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেছিলেন যে, মুহূর্তে সব ভয় কেটে গিয়েছিল কর্নাটকের ক্রিকেটারের। রাহুলের মনে হতে শুরু করেছিল, তিনিও এই ড্রেসিংরুমেরই সদস্য। তিনিও জাতীয় দলের ক্রিকেটার।
হরভজন যেদিন ক্রিকেটের বুটজোড়া পাকাপাকিভাবে তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন, সেদিন রাহুলের মনে পড়ছে বছর ছয়েক আগের ঘটনা। যখন তিনি সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে রাহুল এখন সেঞ্চুরিয়নে। ডিন এলগারদের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর দুদিন আগে রাহুলের ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে উঠল হরভজনের অবসরের প্রসঙ্গ। এবিপি লাইভের প্রশ্নে টেস্ট দলে বিরাট কোহলির ডেপুটি বললেন, 'ভারতের হয়ে খেলা সর্বকালের সেরা স্পিনারদের একজন ভাজ্জি পাজি (হরভজন সিংহকে জুনিয়র সতীর্থরা এভাবেই সম্বোধন করে থাকেন)। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের সবসময় ভীষণ সাহায্য করেছে। আমরা যখন প্রথম দলে সুযোগ পাই, ড্রেসিংরুমের আবহটা সহজ করে দিয়েছিল। আমাদের স্বাগত জানিয়েছিল। সব সময় সমর্থন করত। সব চাপ নিমেশে কেটে গিয়েছিল।' রাহুল যোগ করলেন, 'ওকে অবসর জীবনের শুভেচ্ছা জানাই। ক্রিকেটকে এত কিছু দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা রইল।'
আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয় হিসাবে টেস্টে হ্যাটট্রিক, অবসরের দিনও উজ্জ্বল ভাজ্জির কীর্তি
সালটা ২০১৫। গলে আয়োজিত টেস্ট ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। রাহুল তখন সদ্য জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন। সেই সফরে হরভজনও ছিলেন। গল টেস্টে খেলেওছিলেন। জলন্ধরের অফস্পিনার তখন সিনিয়র তারকা। নবাগত রাহুলকে আগলে রেখেছিলেন। সেই সময়ের কথা এখনও ভোলেননি রাহুল।