হাম্বানটোটা: এশিয়া কাপ (Asia Cup) শুরু হতে আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। তার আগে দুরন্ত ছন্দে পাকিস্তান। যা ভারতীয় শিবিরে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের সঞ্চার করবে।
হাম্বানটোটায় ওয়ান ডে-তে আফগানিস্তানকে ১৪২ রানে গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের ২০১ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫৯ রানে গুটিয়ে গেল আফগানিস্তান।
তবে শুরুতে ব্যাটিং নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল পাকিস্তান। আফগান স্পিনাররা বেশ চাপে ফেলে দেন পাকিস্তানকে। মুজিব উর রহমান, রশিদ খান ও মহম্মদ নবি - তিন স্পিনারের ঘূর্ণিজালে মাত্র ২০১ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৪৭.১ ওভারে। তবে তারপর বল হাতে জ্বলে ওঠেন পাক পেসার হ্যারিস রউফ। সঙ্গত করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। মাত্র ১৯.২ ওভারে ধ্বংস হয়ে যায় আফগানিস্তান। ৫৯ রানে। যা ওয়ান ডে ক্রিকেটে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
মাত্র ১৮ রানে পাঁচ উইকেট রউফের। ৬.২ ওভারের মধ্যে ২টি মেডেনও নেন পাক পেসার। ওয়ান ডে-তে এটাই রউফের সেরা বোলিং। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শাহিনের বাউন্সারে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদ্রান।
পাক পেসারদের দাপটের সামনে আফগানিস্তানের প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই ফেরেন কোনও রান না করেই। আজমাতুল্লাহ ওমরজাই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তিনটি বাউন্ডারি মেরে চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ১২ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান তিনি। বা বলা ভাল, ক্রিজ ছাড়তে বাধ্য হন। আহত ও অবসৃত হয়ে।
তবে ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা চিন্তায় থাকবে পাক শিবির। কারণ আফগানিস্তান স্পিনারদের সামনে বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। শুকনো পিচে প্রথম ব্যাটিং করে প্রথম ২ ওভারের মধ্যে ৭/২ হয়ে যায় পাকিস্তান। নতুন বলে বোলিং করতে এসেছিলেন মুজিব। তাঁর স্পিনের ফাঁদে ৩ বলে কোনও রান না করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাবর আজম।
ফকর জামান, মহম্মদ রিজওয়ান, আঘা সলমনরা বড় রান পাননি। পাক ইনিংসে টানেন ইমাম উল হক। ৬১ রান করেন তিনি। মুজিবের ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নবি ও রশিদের। তবে পেসারদের দাপটে উদ্বেগ কাটিয়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: হোয়াইটওয়াশের হাতছানি, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে কি সুযোগ পাবেন শাহবাজরা?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial