এজবাস্টন: অ্যাশেজের (Ashes 2023) প্রথম টেস্টে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডকে তাঁদের ঘরের মাঠে হারিয়ে দারুণ শুরু করেছে কামিন্সের (Pat Cummins) দল। স্টোকসের 'বাজবল' থিওরি বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। ২৮১ রান তাড়া করতে নেমে শেষ দিনে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে জয়ের পর দলের অন্য এক সতীর্থকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন কামিন্স। অজি অধিনায়ক তাঁর সতীর্থ নাথান লায়নকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।
গতকাল ম্যাচের পর কামিন্স বলেন, ''লায়ন সত্যিকারের সুপারস্টার। দুটো ইনিংসেই নিজের দায়িত্ব পালন করল। দুর্দান্ত পারফর্ম করল। মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলল। নিজের কাজ সম্পর্কে সচেতন ভীষণ ভাবে। যে কোনও অধিনায়কের স্বপ্নের প্লেয়ার লায়ন।''
গতকাল শেষ দিনেও ১৭৪ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জিততে। সেই পরিস্থিতিতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর যখন কামিন্স ব্যাট করতে নামেন তখন ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল। কারণ তাদের প্রয়োজন ছিল ৩ উইকে। অন্যদিকে লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে তরী পার করা কিছুটা চাপেরই ছিল কামিন্সের পক্ষে। সেই সময় ব্যাট হাতেও অজি অধিনায়ককে ভরসা জোগান লায়ন। ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন অজি স্পিনার। ২টো বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। কামিন্স বলেন, "উইকেটে তেমন ছিল না। কিন্তু গ্যারি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। ওর কিছু অন ড্রাইভ শট দারুণ ছিল। আমি ওকে বলেও ছিলাম যে অসাধারণ শট মেরেছ।''
গতকাল বৃষ্টির জন্য প্রথম সেশনে খেলা হয়নি। দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু হলেও বোল্যান্ডকে ২০ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান স্টুয়ার্ট ব্রড। ট্র্যাভিস হেড ক্রিজে নেমে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ব্যাট করা শুরু করেছিলেন বটে। তবে তিনি ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মঈন আলি। তবে খাওয়াজা একদিক ধরে রেখেছিলেন। তিনি নিজের অর্ধশতরানও পূর্ণ। তাঁকে সঙ্গ দেন ক্যামেরন গ্রিন। চা বিরতির আগে আর কোনও উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সেশন শেষে অজিদের স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান। জয়ের জন্য শেষ সেশনে আরও ৯৮ রান তুলতে হত খাওয়াজাদের।
দিনের শেষ সেশনের খেলা শুরু হতেই পরপর ধাক্কা খায় অজিরা। অলি রবিনসন ক্যামেরন গ্রিনকে ২৮ রানে আউট করেন। সেট খাওয়াজাকে ৬৫ রানে ঘরে ফেরান বেন স্টোকস। এরপর নিজের বোলিংয়ে এক দুর্ধর্ষ ক্যাচ নিয়ে অ্যালেক্স ক্য়ারিকে জো রুট সাজঘরে ফেরত পাঠান। ২২৭ রানে আট উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেই দলের ত্রাতা হয়ে উঠেন কামিন্স। চতুর্থ দিনে তিনি বল হাতে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। এদিন ব্যাট হাতে নিজের পরিপক্ক ইনিংসে সকলকে মুগ্ধ করলেন কামিন্স। তাঁর দৌলতেই জয় পেল অজিরা। লায়নও ১৬ রানে অপরাজিত থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন।