মুম্বই: আইপিএল অভিষেকে ম্যাচে উইকেট পাননি। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই উইকেট পেয়েছিলেন। প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু গতকালের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে এক ওভারে বল করে ৩১ রান খরচ করেছিলেন। ৩ ওভার বল করে ৪৮ রান খরচ করেছিলেন। তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অনেকেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় খোঁচা দিয়েছিলেন অর্জুনকে কোটার প্লেয়ার হিসেবে উল্লেখ করে। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কোচ মার্ক বাউচার অবশ্য পাশে দাঁড়ালেন অর্জুনের।


কী বললেন বাউচার?


সচিন পুত্রের পাশে দাঁড়িয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচ বলছেন, ''ক্রিকেটে সবদিন নিজের জন্য হয় না। কোনওদিন ভাল যায় তো কোনওদিন খারাপ যেতেই পারে। আমার মনে হয় অর্জুন কিছুটা চাপে ছিল। ডেথ ওভারের দিকে অর্জুনের মত অনভিজ্ঞ বোলার সাহস দেখিয়েছে, বল করার এর জন্য় বাহবা দিতেই হয়। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে ভালবাসে অর্জুন। আমি জানি যে ও ঠিক ভালভাবে ফিরে আসবে আবার। আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে। দলের প্রত্যেকে এমনকী সাপোর্ট স্টাফরা ওকে সমর্থন করছে প্রত্যেক মুহূর্তে।''


গতকাল টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মুম্বইয়ের শক্তি বাড়িয়ে এই ম্যাচে একাদশে ফেরেন জোফ্রা আর্চার। ব্যাটে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল করেনি পাঞ্জাব কিংস। মাত্র ১১ রানেই সাজঘরে ফেরেন ম্যাথিউ শর্ট, ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাঞ্জাব। দ্বিতীয় উইকেটে প্রভসিমরন সিংহ ও অর্থব তাইডে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু অভিজ্ঞ পীযূষ চাওলা পরপর উইকেট নিয়ে পাঞ্জাব কিংসকে চাপে ফেলে দেন।


তাইডে (২৯) ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে (১০) ফেরান তিনি। প্রভসিমরনকে ২৬ রানে আউট করেন অর্জুন তেন্ডুলকর। ১৮ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব কিংস। এরপরই পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরানোর দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক স্যাম কারান ও হরপ্রীত সিংহ। পঞ্চম উইকেটে দুইজনে প্রথমটা খানিকটা সামলে নিয়ে তারপর আক্রমণ শুরু করেন। ১৬তম ওভারে অর্জুন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে ৩১ রান তোলেন দুইজনে। ৩৮ বলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন এঁরা।


তবে গ্রিন শেষমেশ হরপ্রীতের ৪১ রানের ইনিংস থামান। কারান ও হরপ্রীতের ৪৮ বলে ৯২ রানের পার্টনারশিপ শেষ হয়। তবে এই পার্টনারশিপ ভাঙলেও সাত নম্বরে ব্যাটে নামা জীতেশ শুরু থেকেই দুর্ধর্ষ আগ্রাসীভাবে ব্যাট করেন। তিনি ব্যাটে নেমেই নিজের প্রথম দুই বলে দুইটি ছক্কা হাঁকান। শেষমেশ কারানের অর্ধশতরান ও জীতেশ এবং হরপ্রীতের আগ্রাসী ইনিংসের সুবাদেই দুইশো রানের গণ্ডি পার করে ফেলে পাঞ্জাব। মুম্বইয়ের হয়ে এদিন জীতেশই ১৫ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নিয়ে সর্বসেরা বোলিং করেন। ওয়াংখেড়ে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক, মাঠও ছোট, তাই ২১৫ রান তাড়া করা অস্বাভাবিক কিছুই নয়।


'