পাল্লেকেলে: ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর ৩০ জুলাই, ২০১৬। অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয়বার টেস্টে হারাল শ্রীলঙ্কা। দুটি জয়ই দেশের মাটিতে। প্রথম জয় এসেছিল ক্যান্ডিতে। সেই দলে ছিলেন অরবিন্দ ডি সিলভা, অর্জুন রণতুঙ্গা, সনৎ জয়সূর্য, মাহেলা জয়বর্ধনে, মুথাইয়া মুরলীধরন, চামিন্ডা ভাসের মতো তারকারা। সেই দলটাই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা দল। আর বর্তমান দলে সেভাবে কোনও তারকাই নেই। কিন্তু এই তরুণ দলই শনিবার পাল্লেকেলেতে টেস্ট ক্রমতালিকার শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে ১০৬ রানে হারিয়ে তিন টেস্টের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল।

 

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১৭ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তখন বোঝা যায়নি, এই টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দল। কিন্তু রঙ্গনা হেরাথ (৪৯ রানে ৪ উইকেট), লক্ষ্ণণ সন্দকান (৫৮ রানে ৪ উইকেট) এবং নুয়ান প্রদীপের (৩৬ রানে ২ উইকেট) দাপটে অস্ট্রেলিয়াকে ২০৩ রানে আটকে দেয় শ্রীলঙ্কা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস। ৩৫৩ রান তুলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৫৮ রানের টার্গেট দেয় ম্যাথুজের দল। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ১৬১ রানেই শেষ হয়ে গেল সফরকারীদের ইনিংস।

 

স্টিভ স্মিথ (৫৫) লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। পিটার নেভিল (১৩০ বলে ৯) এবং স্টিভ ও’কিফি (১০৫ বলে ৪) ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের লড়াই ব্যর্থ হল। হেরাথ এই ইনিংসে পাঁচ উইকেট দখল করলেন। সন্দকান তিন উইকেট নিয়েছেন।  এই ঐতিহাসিক জয়ের পর জয়সূর্যর সঙ্গে একাসনে বসে পড়লেন ম্যাথুজ। এই দুই অধিনায়কের দলই অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারাল। অন্যদিকে, স্টিভ ওয়ার পর দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কার কাছে হারলেন স্মিথ। তাঁর নেতৃত্বে এই প্রথম টেস্টে হারল অস্ট্রেলিয়া।

 

এই সিরিজের ফল ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া যদি সিরিজ খোয়ায় এবং ভারত বড় ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে ভারতই টেস্টে এক নম্বর দল হয়ে যাবে।