সেঞ্চুরিয়ন: টেস্ট কেরিয়ারে ২ বার তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছে। আর ২ বারই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২ বারই সেঞ্চুরিয়নে (centurion)। দক্ষিণ আফ্রিকার (south africa) বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই লুঙ্গি এনগিডির (lungi engidi) বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান চেতেশ্বর পূজারা (cheteswar pujara)। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ পূজারা আরও একবার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। এনগিডির বল পূজারার ব্যাটের কানায় লেগে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে উঠে যায়। সেখানেই ক্যাচ ধরেন কিগান পিটারসেন। 


 






খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখা পূজারাকে নিয়ে এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন, ''ওপেনারদের দুর্দান্ত শুরু করা মোমেন্টামটা নষ্ট করে দিল পূজারা।'' কেউ আবার বললেন, ''পূজারা শুধুমাত্রই একজনের জায়গা দলে আটকে রেখেছেন। তাঁকে বুঝতে হবে যে হয় কাজ করতে হবে, নয়তো জায়গা ছাড়তে হবে অন্য কাউকে।'' আবার কেউ লিখেছেন, ''চেতেশ্বর পূজারার এবার উচিত শ্রেয়স আইয়ার ও হনুমা বিহারির মতো তরুণদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া। উনি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম একজন সেরা যোদ্ধা। কিন্তু এবার ওঁনাকে গুডবাই বলার সময় এসেছে।'' আবার কেউ লিখেছেন, ''পূজারার টেস্ট কেরিয়ার নিয়ে এবার টিম ম্যানেজম্যান্টের ভাবনা চিন্তা করা উচিত।''


 






এদিকে, প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রবিবার ময়ঙ্ক অগ্রবাল (Mayank Agarwal) ও রাহুল মিলে ওপেনিং জুটিতে ১১৭ রান যোগ করেন। যা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতীয় ওপেনিং জুটি হিসাবে তৃতীয় সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। ২০০৭ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ওয়াসিম জাফর ও দীনেশ কার্তিক ১৫৩ রান তুলেছিলেন। ২০১০ সালে গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র সহবাগ এই সেঞ্চুরিয়নেই ওপেনিং জুটিতে তুলেছিলেন ১৩৭ রান। তার ১১ বছর পরে ফের রাহুল-ময়ঙ্কের (৬০ রান) হাত ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওপেনিং জুটিতে এল সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ২৭২/৩। ২৪৮ বলে ১২২ রান করে ক্রিজে রয়েছেন রাহুল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৭টি চার ও একটি ছক্কা। ৮১ বলে ৪০ রান করে ক্রিজে রয়েছেন অজিঙ্ক রাহানেও।