নয়াদিল্লি: ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে সোনার মেয়ে হিমা দাসের কোচ নিপন দাসের বিরুদ্ধে উঠল যৌন হয়রানির অভিযোগ। অভিযোগকারিনী আরেক মহিলা অ্যাথলিট, যিনি নিপনের কাছে গুয়াহাটিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেন কোচ।


গত ২২ জুন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ২০ বছর বয়সী তরুণী দাবি করেন, গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন নিপন। মহিলা অ্যাথলিটের অভিযোগের ভিত্তিতে নিপনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।


যদিও, অভিযোগকারিনীর আনা যাবতীয় দাবিকে খারিজ করেছেন নিপন। তাঁর পাল্টা দাবি, গত ২৬-২৯ জুন হওয়া জাতীয় আন্তঃরাজ্য অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অসম দলে সুযোগ না পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে’ অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী অ্যাথলিট।



নিপন বলেন, ওই মহিলা অ্যাথলিট ১০০ ও ২০০ মিটার রেসে দৌড়ান। অসম দলে ঢোকার জন্য আমাকে সবসময় বিরক্ত করতেন। আমি করিনি, কারণ সেখানে তাঁর চেয়ে ভাল অ্যাটলিট ছিলেন। হিমা দাসের কোচ আরও বলেন, অভিযোগকারিনী তাঁর দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেননি। ঘটনা ১৮ মে ঘটেছে বলা হলেও, ২২ জুন অভিযোগ দায়ের করা হল।


নিপনের দাবি, সহকারি কোচ সহ অন্যান্য স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকলেই জানিয়ে দেন, তাঁরা এমন ঘটনার কথা শোনেননি। ফলে, এটা পরিষ্কার যে, যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নিপনের দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। হিমা দাসের কোচ বলেন, আমি যদি অপরাধী হই, তাহলে আমার শাস্তি পাওয়া উচিত। আমি তৈরি। কিন্তু, আমি জানি যে আমি নির্দোষ। আমি কোনও ভুল করিনি।


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাজ্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের সঙ্গে যুক্ত নিপন। ২০১৬ সালে তিনি প্রথম হিমাকে দেখেন। তাঁর মধ্যে সম্ভাবনা খুঁজে পেয়ে নাগাঁও জেলার ঢিং গ্রামের বাসিন্দা হিমাকে বলেন, থেকে গুয়াহাটিতে এসে থেকে প্রশিক্ষণ নিতে। মূলত, নিপনের মেন্টরশিপে নিজেকে বিশ্বসেরা হিসেবে গড়ে তোলেন হিমা। চলতি মাসে ফিনল্যান্ডে হওয়া বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ৪০০ মিটার দৌড়ে তিনি সোনা জেতেন।