কলকাতা: গত হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (Indian Super League) লিগ টেবলে যে ছ’টি দল ছিল, তাদের মধ্যে এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohunbagan) বাদ দিলে যে পাঁচটি ক্লাব পড়ে থাকে, সেই ক্লাবগুলি এ বার কেমন দল তৈরি করেছে, তা নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবদন। ফাইনালিস্ট-সেমিফাইনালিস্টদের এ বার বাড়তি তাগিদ তো আছেই, তা ছাড়া প্রথম চারের বাইরে থাকা দুই দল এ বার নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠবে। যদিও এ বার সেরা ছয় দল নক আউটে খেলার সুযোগ পাবে। কিন্তু প্রথম চারে থাকার সন্মানই আলাদা। এ বার কেমন হল গতবার ওপরের দিকে থাকা ক্লাবগুলির দল, তা একবার দেখে নেওয়া যাক। এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে আলাদা টিম প্রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে আগেই। তাই গতবারের সেরা ছয়ে থাকা বাকি পাঁচ ক্লাবকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।  


গতবারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে হায়দরাবাদ এফসি-র ওপর এ বার বাড়তি চাপ তো থাকবেই। যে কোনও টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ক্ষেত্রে যেটা থেকে থাকে। সমর্থকদের বাড়তি প্রত্যাশা ও নিজেদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চাপ থাকে তাদের ওপর। হায়দরাবাদ এফসি-র ওপরও সেই চাপটা এ বার সারা লিগেই থাকবে। যদিও এখন পর্যন্ত হিরো আইএসএলের আটটি মরসুমে কোনও দলই পরপর দু’বার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এ বার তাই হায়দরাবাদের সামনে খেতাব রক্ষা করে নজির গড়ার সুযোগ রয়েছে। গতবার ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকার পর কেরালা ব্লাস্টার্সকে টাই ব্রেকারে ৩-১-এ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নিজামের শহরের দল। এ বার তারা কতদূর এগোতে পারবে সে দিকে অনেকেই নজর দিয়ে বসে থাকবে। বিশেষ করে হায়দরাবাদের সমর্থকেরা।


কেরালা ব্লাস্টার্স



গতবার ফাইনালে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হেরে যাওয়ার পরে এ বার কেরালা ব্লাস্টার্স ফের ফাইনালে ওঠার জন্য মরিয়া। এ বার যেহেতু নিজেদের ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলতে পারবে তারা, তাই এ বার তাদের আত্মবিশ্বাসের স্তরও অনেক উঁচুতে থাকবে, এমন আশা করা যায়।


গতবারের দলের ভারতীয়দের বেশিরভাগকেই রেখে দিয়েছে ব্লাস্টার্স। তবে বেশ কয়েকজন নতুন বিদেশিকে নিয়েছে তারা। তবে আলভারো ভাসকেজ ও জর্জ পেরেরা দিয়াজের মতো দুই বিদেশি ফুটবলারকে হারাতেও হয়েছে তাদের। নতুনদের বিদেশিদের মধ্যে রয়েছেন দুই গ্রিসজাত সেন্টার ফরোয়ার্ড আপোস্তোলোস গিয়ানু ও দিমিত্রিয়স দায়ামান্তাকস, স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাক ভিক্টর মঙ্গিল, ইউক্রেনের মিডফিল্ডার ইভান কালিউঝনি। ভারতীয় মিডফিল্ডার ব্রাইস মিরান্ডা ও সৌরভ মন্ডল ও সেন্টার ফরোয়ার্ড বিদ্যাসাগর সিং এ বার প্রথম কেরালারা দলের জার্সি গায়ে খেলবেন।


জামশেদপুর এফসি


গতবারের লিগশিল্ড জয়ী জামশেদপুর এ বারও ভাল কিছু করার তাগিদ নিয়েই হিরো আইএসএলের নামবে। চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি-কে পিছনে ফেলে তারা এক নম্বরে থেকে লিগপর্ব শেষ করে। এ বারেও সেরকমই কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেও দলের দুই স্তম্ভকে এ বার পাচ্ছে না ইস্পাতনগরীর দল। কোচ আওয়েন কোইল, যিনি দলটাকে লিগসেরা হতে দারুন ভাবে সাহায্য করেছেন এবং এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা স্কটিশ তারকা গ্রেগ স্টুয়ার্ট, এঁরা কেউই এ বার জামশেদপুর এফসি-র সঙ্গে নেই।