এজবাস্টন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইংল্যান্ডের বোলারদের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন উসমান খাওয়াজা। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে ১২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন বাঁহাতি এই অজি ওপেনার। ইংল্য়ান্ডের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি ছিল। আর তার সাফল্য উদযাপনে ব্যাটই ছুড়ে ফেলেছিলেন খাওয়াজা। দিনের শেষে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আবেগের বশেই ওমনটা করে ফেলেছেন অজি ওপেনার। 


ইংল্যান্ডের মাটিতে নাকি তিনি রান করতে পারেন না। খাওয়াজা বলছেন, ''মিডিয়াতে কে কী লিখল, তা নিয়ে বেশি ভাবি না। কিন্তু এখানে প্রস্তুতি থেকে মাঠে খেলতে নামা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দর্শকরা আমাকে সবসময় খোঁচা দিত যে আমি ইংল্য়ান্ডে রান করতে পারি না। এর আগে অ্যাশেজের তিনটি সিরিজে খেলার সুযোগ এলেও ২ বার আমাকে বাদ পড়তে হয়েছে। তাই বাড়তি তাগিদ ছিল। এটাই চেয়েছিলাম যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রান করতে ও গত ১০ বছরের আমার পারফরম্যান্স যে ফ্লুক ছিল না, তা বোঝাতে।'' খাওয়াজা আরও বলেন, ''ক্রিকেট ছাড়ার পরও অনেক কিছু রয়েছে ভাল করার। দলের তরুণ ছেলেরাও আমাকে সবসময় সমর্থন জুগিয়ে এসেছে। আমার স্ত্রী আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি শূন্য় রানে আউট হই বা সেঞ্চুরি করি, এখন শুধু ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চাই। প্রত্যেকটি টেস্ট ম্যাচই আমার কাছে বোনাস ম্যাচ। অনেকেই ভেবেছিল যে আমি ফুরিয়ে গিয়েছি। হয়ত এটাই আমার ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ অ্যাশেজ। এরপরের সফরে আমি ৪১-এর হয়ে যাব হয়ত। তবে সেই বয়সেও অ্যান্ডারসনের মত যদি পারফর্ম করতে পারি, সেক্ষেত্রে হয়ত অন্য কিছু হতে পারে।''


২৭৯ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। একবার আউটও হয়ে গিয়েছিলেন। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে। সেঞ্চুরির পরে। তবে রিপ্লে-তে দেখা যায়, ব্রড ওভার স্টেপ করেছেন। ফলে নো বল হয়ে যায়। প্রাণরক্ষা হয় খাওয়াজার।


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টনে ম্যাচ জমিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া (England vs Australia)। বা বলা ভাল, উসমান খাওয়াজা। ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথের মতো মহারথীরা যে ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ, সেখানে ফুল ফোটালেন বাঁহাতি খাওয়াজা। ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন অজি ওপেনার। ইংল্যান্ডের মাটিতে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। তাও এমন একটা বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে, যে বোলিং বিভাগে রয়েছেন দুই কিংবদন্তি। জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। সঙ্গে অলি রবিনসন, মঈন আলি ও বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।