সৌমিত্র কুমার রায়, কলকাতা: সোনার ছেলে তিনি। তাঁকে নিয়ে এখন গোটাদেশ জুড়ে মাতামাতি। এরই মধ্যে ঝটিকা কলকাতা সফরে এসেছিলেন নীরজ চোপড়া। আর শহরে এসে সোনা জয় থেকে, অলিম্পিক্সের মঞ্চ, পানিপথ থেকে টোকিও যাত্রা সবকিছু নিয়েই মুখ খুললেন জ্যাভলিনে সোনাজয়ী ভারতীয় অ্যাথলিট।


এক বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা এসেছিলেন নীরজ। অলিম্পিক্সের পদক জয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে নীরজ বলেন, 'অলিম্পিক্সে খেলতে যাব, এটাই স্বপ্ন ছিল। এত পরিশ্রম করছিলাম। কিন্তু সোনা পাব তা নিয়ে কিছু ভাবিনি। পদক জিতব, এটাই লক্ষ্য ছিল। পদকের রং কোনটা হবে, তা তো কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। তবে সোনার ওপরে তো কিছুই হয় না। দেশের জন্য সোনা জিততে পেরেছি, খুবই ভাল লাগছে। অলিম্পিক্সে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে দেশের জাতীয় সঙ্গীত চলছিল। যা ভীষণ ভাল লাগছিল।'



অলিম্পিক্সের মঞ্চে জ্যাভলিনে ৯০.৫৭ মিটার রেকর্ড হয়ে রয়েছে এখনও পর্যন্ত। কিছুদিন আগেই নীরজ বলেছিলেন যে তিনি ৯০ মিটারের বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়তে চান তিনি। নীরজের এখনও পর্যন্ত জাতীয় রেকর্ড ৮৮. ০৭ মিটার। এবার সেই রেকর্ডও ভাঙতে মরিয়া পানিপথের তরুণ। নীরজ বলেন, 'অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছি। কিন্তু আরও একটা বিষয় রয়েছে। যা হল অলিম্পিক্স রেকর্ড। এই রেকর্ডই আমি আমার নামে করতে চাই। আপাতত কিছুদিনের বিশ্রাম নিয়েছিলাম। কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই ফের শুরু করে দেব অনুশীলন।'


পানিপথের থেকে টোকিওর পথ কোনওভাবেই সুগম ছিল না। জ্যাভলিন তারকার আজকের তারকা হয়ে ওঠার পেছনে অবশ্য পরিবারের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। সে বিষয় নীরজ বলেন, 'পরিবারে সবাই প্রথম থেকেই আমাকে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে আমার ছোট কাকা প্রথম থেকেই সাহায্য করেছে। আমাকে সবসময় উদ্বুদ্ধ করে গিয়েছেন। তিনি নিজে খেলাধুলো করতেন। তাই আমার খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহ তাঁর নজরে এসেছিল।'