রিও ডি জেনেইরো:  রিও অলিম্পিক্সে ভারতের পদকের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন মহিলা কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক। ফরাসি শব্দ রেপেশাজ-এর অর্থ দ্বিতীয় সুযোগ।  ২৪ বছরের সাক্ষী অবশ্য তা জানতেন না। কিন্তু খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে কীভাবে লড়াই করতে হয়, তা জানেন হরিয়ানার এই তরুণী।
বুধবার রিওতে তখন সন্ধে। সাক্ষী ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে পদক জয়ের দ্বিতীয় সুযোগটা পেলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে রুশ কুস্তিগীর ভ্যালেরি কোবলোভার কাছে হারার পর এই সুযোগটার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন তিনি।কোবলোভা ফাইনালে যাওয়ার পর সুযোগটা এসে যায় সাক্ষীর কাছে।   সেই সুযোগ আর হাতছাড়া হতে দেননি। রিওতে ভারতের প্রায় পক্ষকালের পদকের খরা কাটালেন তিনি।
পদক জয়ের পর সাক্ষী বলেছেন, আমার ১২ বছরের তপস্যা সফল হল। শেষপর্যন্ত আমার মনে হচ্ছিল, পদকটা আমারই।
দেশের চতুর্থ মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিম্পিক্সে মেডেল জিতেছেন তিনি। আবেগাপ্লুত সাক্ষী বলেছেন, অলিম্পিকে পদক জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন তিনি। সাক্ষী বলেছেন, ভেবিছিলাম, ছয় মাস যদি টানা খেলে যেতে পারি, তাহলে অলিম্পিক্সে মেডেল পাব।


দেশের হয়ে এবারের অলিম্পিক্সের প্রথম পদকটি এনে দিতে একই দিনে ২০১৪-র গ্লাসগো কমনওয়েল্থে রুপো জয়ীকে খেলতে হয়েছে পাঁচটি ম্যাচ।  ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে কিরগিজস্তানের আইসুলু তিনিবেকোভার কাছে প্রথম পর্বে ০-৫ পিছিয়ে থেকেও দুরন্ত কামব্যাক করেন তিনি। মাত্র দেড় মিনিট সময়ের মধ্যেই শেষপর্যন্ত ৮-৫ –এ হারালেন প্রতিপক্ষকে।

ম্যাচের পর সাক্ষী বলেছেন, পিছিয়ে পড়েও তিনি আদৌ উদ্বিগ্ন ছিলেন না। জানতেন যে কোনও মুহূর্তে খেলা নিজের দিকে টেনে আনতে পারবেন। সাক্ষী বলেছেন, তিনি সব সময়ই পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ান। এই ম্যাচেও তাই-ই হয়েছে। সাক্ষী বলেছেন, ছয় মিনিটের এই ম্যাচ তাঁর জীবনটাই বদলে দিয়েছে।