রিও দি জেনেইরো: চলতি অলিম্পিকে একটা মেডেলের জন্য আসমুদ্র হিমাচল হাহাকার শেষ। কুস্তিতে ৫৮ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ নিয়ে এলেন হরিয়ানার তরুণী সাক্ষী মালিক। অবশেষে অলিম্পিকের দ্বাদশতম দিনে শেষ হল ১২০ কোটির দেশের পদক খরা।

বুধবার একদিনেই শুরু হয়ে শেষ হয় ৫৮ কেজি বিভাগের মহিলা কুস্তি। পাঁচ পাঁচজন একইরকম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নাছোড় লড়াইয়ের পর দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হলেন সাক্ষী। প্রথম দুটি ম্যাচ জেতার পর কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে যান সাক্ষী। কিন্তু রুশ মেয়েটি ফাইনালে ওঠায় অলিম্পিকের নিয়মমত সাক্ষীর সামনে ব্রোঞ্জের জন্য লড়াইয়ে নামার সুযোগ এসে যায়। এরপরই কিরগিজস্তানের আইসুলু তিনিবেকোভার বিরুদ্ধে শুরু হয় সাক্ষীর জীবন মরণ লড়াই। প্রথম ধাপে ০-৫-এ পিছিয়ে পড়েও লড়াইয়ে দারুণভাবে ফিরে আসেন ২৩ বছরের হরিয়ানভি। ৮-৫ পয়েন্টে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ম্যাটেই লাফিয়ে ওঠেন তিনি। গায়ে তখন জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দিয়েছেন কোচ কুলদীপ সিংহ।

জয়ের পর সাক্ষী

শুরু সেই ‘৫২-র হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে, কে যাদবের হাত ধরে। তখন থেকে কুস্তিতে এই নিয়ে পঞ্চমবার অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পেল ভারত। তবে মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে সাক্ষীই প্রথম যিনি অলিম্পিক পোডিয়ামে ওঠার সৌভাগ্য অর্জন করলেন। ভারোত্তলক কর্ণম মালেশ্বরী, বক্সার মেরি কম ও ব্যাডমিন্টনের সাইনা নেহওয়ালের পর সাক্ষীই চতুর্থ মেয়ে, যিনি অলিম্পিকের শ্রেষ্ঠ আঙিনায় সম্মানিত করলেন দেশকে।