দুবাই: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের নিয়মে কিছু বদল আনার কথা ঘোষণা করল আইসিসি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি যে প্রস্তাবগুলি দিয়েছিল, সেগুলি কার্যকর করছে আইসিসি। এবার থেকে টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোনও ক্রিকেটারের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গেলে, সেই খেলোয়াড়ের পরিবর্তে অন্য কাউকে মাঠে নামানো যাবে। এছাড়া আরও জানানো হয়েছে, বল চকচকে রাখার জন্য থুতু ব্যবহার করা যাবে না। যে দেশে আন্তর্জাতিক সিরিজ হবে, সেই দেশের আম্পায়াররাই দায়িত্বে থাকবেন।


আগামী মাস থেকে ফের শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সিরিজে অবশ্য স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশাধিকার থাকবে না। এই সিরিজের জন্য আজই ইংল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। এদিনই আইসিসি-র পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি চিফ এগজিকিউটিভ কমিটি। ক্রিকেট যখন ফের শুরু হবে, তখন করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কমানো এবং খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজেসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোখার জন্য আইসিসি ক্রিকেটে খেলোয়াড় পরিবর্তনের নিয়ম চালু করে। কোনও খেলোয়াড় চোট পেলে এতদিন তাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে মাঠে নামানো যেত। এবার করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে বদল করা যাবে। ম্যাচ রেফারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এই নিয়ম শুধু টেস্ট ম্যাচেই প্রযোজ্য হবে। একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি-২০ ম্যাচে এই নিয়ম কার্যকর হবে না।

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল, বলে থুতু লাগানো নিষিদ্ধ হবে। কারণ, থুতুর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। আজ সরকারিভাবে সে কথা জানিয়ে দিল আইসিসি। কোনও দল যদি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বলে থুতু ব্যবহার করে, তাহলে প্রতি ইনিংসে দু’বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হবে। ফের খেলা শুরু করার আগে বল পরিষ্কার করার নির্দেশ দেবেন আম্পায়াররা। দ্বিতীয়বার সতর্কিত হওয়ার পরেও যদি কোনও দল বলে থুতু ব্যবহার করে, তাহলে বিপক্ষ দল পেনাল্টি হিসেবে পাঁচ রান পাবে।

এতদিন আন্তর্জাতিক সিরিজে নিরপেক্ষ আম্পায়ার ব্যবহার করার নিয়ম চালু ছিল। তবে করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেই নিয়মেও বদল হচ্ছে। আইসিসি এলিট প্যানেল ও আইসিসি আন্তর্জাতিক প্যানেল থেকে আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বেছে নেওয়া যাবে। এই নিয়ম চালু করার পাশাপাশি প্রতি ইনিংসে দু’টি দলই অতিরিক্ত একটি অসফল ডিআরএস নিতে পারবে বলে জানিয়েছে আইসিসি। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের মীমাংসার ক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারিকে সাহায্য করবে আইসিসি ক্রিকেট অপারেশনস টিম। এলিট প্যানেলের নিরপেক্ষ ম্যাচ রেফারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করবেন।