চেন্নাই: ভারতের দরকার ছিল মাত্র মাত্র ৬ রান। অথচ তিনি নিজে সেঞ্চুরির থেকে ৯ রান দূরে ছিলেন কে এল রাহুল (K L Rahul)। ততক্ষণে ভারত ম্য়াচ জিতে গিয়েছে। কিন্তু চেন্নাইয়ের গ্য়ালারি তখন দেখতে চাইছেন কে এল রাহুলের সেঞ্চুরি। একটাই উপায় ছিল পরপর একটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাঁকানো। তিনি প্যাট কামিন্সের বল লং অফের ওপর দিয়ে তুলে মারলেন ঠিকই। তবে তা একেবারে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে গিয়ে পড়ল। ডানহাতি ব্যাটার নিজেই ক্রিজের ওপর ব্যাটের হাতল ধরে বসে পড়লেন। ৯৭ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হল। বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির সুযোগটা হাতছাড়া হতে হল শুধুমাত্র বোর্ডে পর্যাপ্ত রানের প্রয়োজন আর না থাকায়। খেলা শেষে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে রাহুল বলেন, ''২ রানের মাথায় ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে যখন মাঠে নামলাম তখন সত্যিই কিছু কথা বলার ছিল না। আমি ভেবেছিলাম যে ইনিংসের বিরতির মাঝে একটি শাওয়ার নিতে পারব। কিন্তু বিরাট আমাকে বলে যে টেস্ট ক্রিকেটের মত খেলতে। শেষ ১৫-২০ ওভারে শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা গিয়েছে। নতুন বলে এই উইকেটে পেসারদের জন্য কিছু সুযোগ ছিল। স্পিনাররাও পরের দিকে সাহায্য পেয়ছে। তবে এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য একেবারেই সহজ ছিল না। তবে চেন্নাইয়ের উইকেট এমনই হয়। আমি ভাবছিলাম কীভাবে সেঞ্চুরিটা পেতে পারি। হিসেব করে দেখছিলাম যে একটা বাউন্ডারি ও একটা ছক্কা হাঁকাতে হবে আমাকে। কিন্তু সেই বলে ছক্কা হয়ে যায় ওটা।''


সামনে লক্ষ্য মাত্র ২০০ রানের। আর সেই রান তুলতে গিয়েই কিনা ভারতের স্কোর হয়ে গেল ২ রানে ৩ উইকেট! ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন ঈশান কিষাণ (০), রোহিত (০), শ্রেয়স আইয়ার (০)। জশ হ্যাজলউডের দুটি ও মিচেল স্টার্কের এক উইকেট। কেউ কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে, এটা ক্রিকেট ম্যাচ চলছে। মনে হচ্ছিল যেন ফুটবল ম্যাচের স্কোরলাইন। দুশোও তখন যেন কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে।


সেখান থেকে পাল্টা লড়াই বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুলের ব্যাটে। ১১৬ বলে ৮৫ রান করলেন কোহলি। আর রাহুল ১১৫ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত রইলেন। রাহুলের ওয়ান ডে কেরিয়ারের সেরা ইনিংস বললেও অত্যুক্তি হবে না। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া হল। একটা সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে একটি চার ও একটি ছয় মারতে হতো। কিন্তু ছয় মেরে বসেন রাহুল। সেঞ্চুরি অপূর্ণ থেকে যায়। ৪১.২ ওভারে ম্য়াচ জিতে নেয় ভারত।